নামেও অপরাজিতা কাজেও তিনি তাই। অবশ্যই কথা বলছি টেলিপাড়ার ‘লক্ষ্মী কাকিমা’ ওরফে অপরাজিতা আঢ্যকে নিয়ে। আজ তাকে আর কাজ নিয়ে ভাবতে হয়না একথা ঠিক, কিন্তু প্রথম জীবনে সংগ্রাম করাই ছিল তার একমাত্র নিয়তি। জন্মের সময় থেকেই হাজারো লড়াই পেরিয়েই আজ তিনি অপরাজিতা। পঁচিশ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন তিনি৷ দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য তো বটেই, তার বাইরেও একজন দারুণ মানুষ হিসেবেও অনুরাগীদের খুব পছন্দের কাছের একজন হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা।
সম্প্রতি ৪৪ বছরে পা দিয়েছেন এই নামজাদা অভিনেত্রী। এই মুহুর্তে দীর্ঘ কয়েক বছরের বিরতির পর নতুন ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ (Lokhkhi kakima superstar) নিয়ে ছোট পর্দায় ফিরেছেন অপরাজিতা আঢ্য। আর শুরুতেই Trp এর তালিকায় বেশ পাকাপোক্ত জায়গাও করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক। আর হবে নাই বা কেন, অপরাজিতার প্রাণখোলা ঝলমলে অভিনয়ের ভক্ত তো আট থেকে আশি সকলেই।
অপরাজিতাকে সর্বাধিক পরিচিতি দিয়েছে ছোট পর্দাই৷ তবে কেরিয়ারের মধ্যগগনে উপস্থিত হয়েও বারো বছর আগের একটা ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি অপরাজিতা৷ সম্প্রতি সেই ঘটনাই এসেছে সামনে। কলকাতার একটি নামী স্টুডিওতে চলছিল শুটিং। অপরাজিতার সাথেই একসঙ্গে শ্যুটিং করছিলেন অভিনেত্রী গার্গী রায় চৌধুরী (Gargee Roychowdhury)।
অপরাজিতার সেই সময় চলছিল পিরিয়ডস, কিন্তু অপরাজিতার মেকআপ রুমে কোনোও ব্যক্তিগত টয়লেটের ব্যবস্থা ছিলনা। এই অবস্থায় স্টুডিওর পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করা মোটেই উচিৎ নয়, এবং সেই টয়লেট ছিল অত্যন্ত অপরিস্কার। অথচ গার্গীর মেকাপ রুমে একটি ব্যক্তিগত টয়লেট ছিল। অপরাজিতা বারংবার গোটা ইউনিটের কাছে আবেদন করেছিল, যাতে তাকে গার্গী একবার টয়লেটটি ব্যবহার করতে দেন। কিন্তু গার্গী রায়চৌধুরী কিছুতেই সেদিন অপরাজিতাকে টয়লেট ব্যবহার করতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে সেদিন পাবলিক টয়লেটই ব্যবহারই করতে হয়েছিল। মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের প্রতি গার্গীর এই ব্যবহার আজও ভুলতে পারেননি অপরাজিতা। গার্গীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক ব্যবহার রয়েছে তাঁর কিন্তু বন্ধুত্বটা আজও হয়ে ওঠেনি।