সুকুমার পরিচালিত আল্লু অর্জুনের ছবি ‘পুষ্পা’ (Pushp a) মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে দক্ষিণী ছবির দাপট হুহু করে বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ ফাটিয়ে ব্যবসা করার পর অবশেষে অন্যান্য সিনেমাকে হল ছেড়ে বিদায় নিয়েছে পুষ্পা। এই মুহুর্তে প্রেক্ষাগৃহগুলি দখল করে রমরমিয়ে চলছে RRR। ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে জুনিয়র NTR ও রামচরণ অভিনীত এই সিনেমার আয় প্রায় ৮০০ কোটির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
কিন্তু এই সব বিগবাজেটের ছবির সাথে পাল্লা দিয়ে আজ ১০০ দিন পরেও অপ্রতিরোধ্য দেবের ছবি টনিক (Tonic)। ‘নো প্যানিক, অনলি টনিক’ গত দু’মাস ধরে বাঙালির মুখে মুখে ঘুরছে এই চারটি শব্দ। যেন অদ্ভুত একটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে এই ডায়লগ বলে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ২৫ শে ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল দেব (Dev) এবং পরান বন্দোপাধ্যায় (Paran Bandopadhyay) এর টনিক (Tonic)। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ তিন মাস। হিসেব বলছে ১০০ দিনের ও বেশি সময় ধরে প্রেক্ষাগৃহে চলছে টনিক। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটা একটা বিশাল ব্যাপার৷
টনিকের সাথে সাথে মুক্তি পেয়েছিল পুষ্পা, স্পাইডার ম্যান, 83 এর মতো ছবি। তাই টনিকের প্রতিদ্বন্দ্বী যে বেশ জোড়ালো ছিল তা বলাই বাহুল্য৷ আর এই সব ছবির সাথে সমানে টক্কর দিয়ে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে টনিক। পুষ্পা, ৮৩ বিদায় নেওয়ার পর মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাটের ছবি ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি ‘। সেই ছবির জনপ্রিয়তা নিয়েও নিশ্চিত আলাদা করে বলার কিছুই নেই?
এত ছবি এলো গেল কিন্তু টনিক চলছে তো চলছেই। এই মুহুর্তে ‘আর আর আর’ এর সাথেও পাল্লা দিয়ে টিকে রয়েছে দেব অভিনীত এই ছবি। ইতিমধ্যেই ওটিটি তেও মুক্তি পেয়েছে টনিক, কিন্তু তবুও দর্শকরা হলে গিয়ে টিকিট কেটে এখনও ছবিটি দেখছেন। টলিউডের কাছে এযে কত বড় প্রাপ্তি তা বলে বোঝানো যাবেনা।