বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোয়ের মধ্যে অন্যতম দাদাগিরির (Dadagiri) মঞ্চ যেন প্রতিভাদের আতুড়ঘর। প্রতি সপ্তাহের শেষে দর্শকদের জন্য মনোরঞ্জনের ডালি নিয়ে হাজির হয়ে থাকেন সকলের প্রিয় দাদা সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি দাদাগিরির মঞ্চে এসে স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলীর সাথে দেখা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননা কেউই। বিভিন্ন ক্ষেত্রের নানান প্রতিভার নজির মেলে এই মঞ্চে।
চলচ্চিত্র জগৎ থেকে রাজনীতি ও খেলার জগতের বিশিষ্ট সব ব্যক্তিত্বদের কারোরই আসতে বাকি নেই এই মঞ্চে। কিন্তু আগামী কাল অর্থাৎ রবিবারের দাদাগিরি পর্ব হতে চলেছে একটু বিশেষ। এদিন দাদার সাথে নিজের ‘দাদাগিরি’র গল্প ভাগ করে নিতে আসছেন ঙালি পাইলট মহাশ্বেতা চক্রবর্তী ( Mahasweta Chakraborty ) । আর সেখানেই তিনি প্রকাশ করেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে তার গা ছমছমে অভিজ্ঞতার কথা।
সকলেরই জানা, এই মুহুর্তে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। ঘোলাটে হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। বলাই বাহুল্য ছোট্ট দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে কার্যত ভয়ে কাটা দেশবাসী। এছাড়াও ভারতের অনেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেণে আটকা পড়েছিল। পরিস্থিতি খারাপ হতেই নিজের দেশে ভারতবর্ষে ফেরবার জন্য প্রবাসীরা ছটফট করতে শুরু করেছিল, তাদের কাছেই কার্যত ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছিলেন মাত্র ২৪ বছরের মহিলা পাইলট মহাশ্বেতা৷
এদিন দাদাগিরির মঞ্চে নিজের মুখেই তার সাহসিকতার নজির তুলে ধরলেন মহাশ্বেতা৷ মহাশ্বেতা চক্রবর্তী কলকাতার বাসিন্দা। বয়স ২৪ হলেও নিজের সাহসী কাজের দরুন সমস্ত ভারতীয়দের কাছে খুবই পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রথমে ৪ বছর তিনি প্রাইভেট এয়ারলাইনে কাজ করলেও পরে তাকে অপারেশন গঙ্গায় ( Operation Ganga ) পাঠানো হয়। আর অপারেশন গঙ্গায় তাকে পাঠানো হচ্ছে শুনে তিনি মনস্থির করে নিয়েছিলেন যে তিনি ইউক্রেনে উদ্ধারকার্যে যাবেন। কারণ তার কথায় একজন ভারতীয় হয়ে আরেকজন ভারতীয়কে সাহায্য করা তার কর্তব্য আর নিজের কর্তব্যই পালন করেছেন মহাশ্বেতা। তার মুখেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের মানুষের কথাও ফুট্ব উঠেছে।
View this post on Instagram