কথায় আছে ‘যে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা’। অভিনেত্রী তথা ফ্যাশনিস্তা উর্ফি জাভেদ (Urfi Javed) কে নিয়ে সর্বক্ষণই বিতর্ক, চর্চা সমালোচনা লেগেই থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি প্রায়ই আলোচিত হন তাদের ড্রেসিং সেন্সের কারণে। হ্যাঁ, অনেক তারকাই তাদের কাজ দিয়ে নিজের নাম তৈরি করেন। তবে উর্ফি জাভেদ এমনই একজন অভিনেত্রী, যিনি কাজের চেয়ে তার পোশাকের জন্য বিখ্যাত হয়েছেন। অদ্ভুত সমস্ত খোলামেলা পোশাকের কারণে মাঝে মধ্যেই শিরোনামে দেখা যায় অভিনেত্রীকে।
কখনো গোটা শরীরে নাম মাত্র পোশাক তো কখনো আবার পোশাক পরলেও এমন ছেঁড়া যা দিয়ে সর্বাঙ্গ দেখা যায়। এমন পোশাক পরেই এয়ারপোর্ট থেকে মুম্বাইয়ের রাস্তায় দেখা মেলে উর্ফির। যা পাপ্পারাৎজিদের ক্যামেরায় ধরা পড়তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু তার সাফ বক্তব্য পোশাক দিয়ে তাকে বিচার করলে ভুল হবে।
সম্প্রতি পোশাকের কারণেই সুজান খানের বোন ফারাহ খান আলী উর্ফি সম্পর্কে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘অস্বস্তিকর পোশাকের জন্য উর্ফিকে তিরস্কার করা উচিৎ। ‘ এই ট্রোলিং এর জবাবে সম্প্রতি উর্ফি একটি সাক্ষাৎকারে জানান, একবার এক কাস্টিং ডিরেক্টর তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন কাজ পেতে গেলে আপোষ করতে হবে৷
এত সাহসী হওয়ার কারণেই কি কাস্টিং কাউচের শিকার হতে হয়েছিল তাকে? মুখ খুললেন উর্ফি জাভেদ৷ তিনি জানিয়েছিলেন কেবল নিজের বুদ্ধির জোরে সেদিন বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন উর্ফি। পাঞ্জাবের এক কাস্টিং ডিরেক্টর ওবেদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে উর্ফি জানান, উর্ফিকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিছানায় যাওয়ার, রাত কাটানোর মত অশ্লীল প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। উর্ফি প্রমাণ স্বরূপ ওই ডিরেক্টরের মুখোশ টেনে খুলে দিতে কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন৷ এবং পাশাপাশি তিনি এও জানান,” সাহসী পোশাক পরা মানেই নগ্ন দৃশ্য বা পর্ণ ভিডিও শ্যুট করব এমন ভাবনা ভুল”। আর ফারাহ প্রসঙ্গে তার মত, ‘অস্বস্তিকর এই শব্দটি খুবই বিষয়ভিত্তিক। লোক বিশেষে পরিবর্তন হয়, তাই আমি ভাবিত নই’।