মৃত্যুর আগে তার দিকে ফিরেও তাকায়নি ইন্ডাস্ট্রি এদিকে গত ২৪ শে মার্চ অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জির প্রয়াণের পর থেকে তাকে নিয়ে চর্চা যেন থামার নামই করছেনা। তাঁর মৃত্যু সংবাদ যেন এক প্রকার নাড়িয়ে দিল বাংলার সিনে পাড়াকে। একটি রিয়েলিটি শো-এর শুটিং সেটেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর সেখান থেকে কোনও মতে বাড়িতে ফেরেন তিনি। বাড়িতেই স্যালাইনের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আর শেষরক্ষা হয়নি।
অভিনেতার অকাল প্রয়াণে থমথমে গোটা টলিউড, প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, রচনা ব্যানার্জি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো তারকারাও। এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক নিজেই জানিয়েছিলেন, তার কেরিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছিলেন সেই সময়ের সুপারস্টার জুটি ঋতুপর্ণা প্রসেনজিৎ। দীর্ঘদিন তার হাতে ছিলনা কাজ, একটা সময় অর্থকষ্ট এতটাই প্রবল হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে লক্ষ্মীর ভাঁড় ভেঙেও পেট চালিয়েছিলেন তিনি, যোগ দিয়েছিলেন যাত্রা দলে।
এরপর বড় পর্দায় কাজ না পেলেও ধীরে ধীরে ছোট পর্দায় ভালো রকম পসার জমিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকে হঠাৎ গুজব রটে তার স্ত্রী সন্তান নাকি বেজায় আর্থিক কষ্টে ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে অভিনেতার অনুরাগীরা থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন তারকাও নাকি সাহায্যের হাত বাড়াতে রাজি হয়েছেন।
এই গুঞ্জনে যখন সর্বত্র ছয়লাপ একথা কানে যায় স্বয়ং অভিষেক পত্নীর, আর শোনা মাত্রই আর দেরি করতে চাননি সংযুক্তা। ভাঙা মন নিয়েই তিনি অভিষেক চ্যাটার্জির পেজ থেকে একটি লম্বা পোস্ট লিখে কার্যত ফুঁসে ওঠেন।
তিনি সাফ জানান, অভিষেক না থাকলেও স্ত্রী সন্তানের জন্য তিনি কোনোওকিছুরই অভাব রেখে যাননি। অভিষেকের মূল্যবোধ খুব বেশি ছিল। জীবিতাবস্থায় কারোর থেকেই কোনো সাহায্য চাননি তিনি। তাই তাঁর প্রয়াণের পরও তাঁর নৈতিকতাকে শ্রদ্ধা জানানোর আর্জি জানিয়েছেন সংযুক্তা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের কোনো সহ অভিনেতাই আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়াননি আর তাঁর পরিবারের সদস্যরাও কোনো সাহায্য চান না। এছাড়াও সংযুক্তা উঁচু গলায় বলেছেন, তিনিও আর্থিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত তাই এই মুহুর্তে কারোর সাহায্যের দরকার নেই তাদের।