প্রায় ২১ বছর পর বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করে মিস ইউনিভার্সের (Miss Universe) শিরোপা জিতেছিলেন পঞ্জাবের হরনাজ কৌর সান্ধু (Harnaaz Kaur Sandhu)। হারনাজের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা দেশ। স্বভাবতই এত বড় জয়ের পর এই মেয়ে রীতিমতো চর্চায় রয়েছেন। সাধারণ একজন মেয়ে থেকে বিশ্বের সেরা সুন্দরী হয়ে ওঠা মুখের কথা ছিলনা। তার জন্য গর্বে বুক ফুলিয়েছিল গোটা ভারতবর্ষের মানুষ।
লারা দত্ত, সুস্মিতা সেনের পর তিনিই ছিলেন তৃতীয় ভারতীয়। আজ থেকে দু’দশক আগে ভারতকে এই মুকুট এনে দিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী লারা দত্ত। ২০১৭ সালে মিস চন্ডিগড়ের শিরোপা পেয়েছিলেন হারনাজ। এরপর ২০১৮ সালে এমার্জিং ষ্টার শিরোপায় ভূষিত হন নিজের দুর্দান্ত রূপের কারণে। এখানেই থামেনি জার্নি, ২০১৯ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া পাঞ্জাবের খেতাব নিজে নেন হারনাজ। ভাগ নিয়েছিলেন মিস ইন্ডিয়া কম্পিটিশনে, কিন্তু ভাগ্য সাথে দেয়নি, তাই টপ ১২ এই শেষ হয় যাত্রা। অবশেষে ২০২১ এ তিনি বিশ্ব সুন্দরী।
তার সৌন্দর্য রীতিমতো চর্চায় ছিল। তাবড় অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা হরনাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তার নিটোল ফিগারের একাধিক বোল্ড ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এই বিশ্ব সুন্দরীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো হাসির পাত্র। তাকে নিয়ে চলছে দেদার ট্রোলিং। অবশ্য তার একটা কারণ ও রয়েছে।
বিশ্ব সুন্দরীর মঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা, সেই চাবুক ফিগারের হরনাজ আর আজকের হরনাজের মধ্যে যেন আকাশ পাতাল তফাৎ। দু’ই জন যে একই ব্যক্তি তাও মাঝেমাঝে গুলিয়ে যেতে পারে।
আসলে সম্প্রতি বেশ কিছুটা মেদ বেড়েছে হরনাজের, গালেও মাংস লাগায় তাকে বেশ মোটা সোটাই দেখাচ্ছে। আর এটাই যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনদের একাংশ। তাদের মতে মডেল মানেই তাকে যেন ছিপছিপেই হতে হবে।
কিন্তু হরনাজের পক্ষে অনেকেই দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, তিনি এখনও আগের মতোই সুন্দর রয়েছেন। কিন্তু শরীরে একটু মেদ জমায় দিন কয়েক আগেই ‘মোটি’, ‘মোটা মিস ইউনিভার্স’,’জিরো ড্রেসিং সেন্স’ একাধিক কটাক্ষের শিকার হতে হয় হারনাজ সান্ধুকে। তবে এই সব কুমন্তব্যকে পাত্তা না দিয়ে খুব কনফিডেন্সের সাথেই র্যাম্প মাতান হরনাজ৷