নাহ নিজের তারকা সত্তাও কাজে লাগল না অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর (Rituparna Sengupta)। বিমান সংস্থার চরম গাফিলতির শিকার হলেন অভিনেত্রী। হাজার কান্নাকাটি, কাকুতিমিনতি কিছুই লাগল না কাজে, ৪০ মিনিট টানা বাকবিতন্ডার পরেও বিমানে উঠতে দেওয়া হলনা পর্দার পারমিতাকে। বিষয়টা একটু খোলাসা করেই বলা যাক, আসলে ভোরের বিমানের বোর্ডিং টাইম ছিল ৪.৫৫ মিনিট। কিন্তু ঋতু বিমান বন্দরে পৌঁছান ৫.১২ মিনিটে।
আমেদাবাদের উদ্দেশ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ শ্যুটিং এর কাজে রওনা হচ্ছিলেন অভিনেত্রী৷ একথা শুনেও বিমানকর্মীরা আটকে রাখল নায়িকাকে। দেশের প্রথম সারির বিমান সংস্থার চরম গাফিলতিতে মাঠে মারা গেল ঋতুপর্ণার আকুতি। মাত্র ১৭ মিনিট দেরিতে পৌঁছেই বেজায় সমস্যায় পড়লেন ঋতু। বারংবার অভিনেত্রী মিনতি করলেও তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
বিমান ধরার জন্য যাত্রীদের ১৯ নম্বর গেটে তিনি পৌঁছন সকাল ৫:১২ মিনিটে। ১৭ মিনিট দেরীতে উপস্থিত হন অভিনেত্রী, এরপর বিমান সংস্থার তরফে সাফ জানানো হয় দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে বারংবার ঋতুর নাম ডাকা হয়েছে, ফোন পর্যন্ত করা হয়েছে তবু নায়িকার হেলদোল না দেখেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। তবে ‘পারমিতা’র দাবি তার কাছে কোনোওরকম ফোনই আসেনি।
বিমান না পেয়ে কেঁদেও ফেলেন অভিনেত্রী। পরে সংবাদ মাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঋতুপর্ণা বলেন, ‘খুব তাড়াহুড়ো করে গেটে পৌঁছলেও বিমান সংস্থার কর্মীরা সহযোগিতা করেননি। ক্রমাগত বচসার মাধ্যমে সময় নষ্ট করতে থাকেন। খুব সামনে থেকে দেখতে পাচ্ছি বিমান মাত্র পঞ্চাশ পা দুরে দাঁড়িয়ে। আমার বোর্ডিং পাশ থেকে আসন সবকিছুই ছিল। দেখতে পাচ্ছি বিমানের সিঁড়ি খোলা হয়নি তখনও। অথচ আমাকে আটকে রেখে বচসা চলল টানা ৪০ মিনিট ধরে। এই বিমান সংস্থার বিমানে বহুবার যাতায়াত করেছি। সংস্থার তরফ থেকে সম্মানসূচক পাসপোর্টও পেয়েছি কিছুদিন আগে। অথচ কেন এরকম ধরনের আচরণ করলেন বুঝতে পারছি না’