বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী (Vivek Ranjan Agnihotri) পরিচালিত ‘কাশ্মীর ফাইলস’ (Kashmir Files) মুক্তির পর থেকে নড়েচড়ে বসেছেন দেশের তাবড়-তাবড় রাজনীতিক থেকে বুদ্ধিজীবীরা। বিগত ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই সিনেমা। যার মাধ্যমে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরী পন্ডিতদের ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম অত্যাচারের কাহিনী অত্যন্ত নিঁখুতভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।
মুক্তির পর থেকেই ছবিটি নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। ইতিমধ্যেই বক্স অফিসের একাধিক রেকর্ড তৈরী করে ফেলেছে এই ছবি। ছবি মুক্তির দু সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও দেশবাসীর মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। এখনও পর্যন্ত বক্স অফিসে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ঘরে তুলে ফেলেছে। তবে এই সিনেমা মুক্তির পর থেকে দেশজুড়ে যেমন উপচে পড়েছে অসংখ্য মানুষের ঢালাও প্রশংসা, তেমনই ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে একটা বড় অংশের অভিযোগ উস্কানিমূলক সিনেমা বানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষপাতীত্ব করেছেন পরিচালক।
আবার কেউ কেউ বলছে এই ছবি সাম্প্রদায়িকতাকেও প্রচার করছে৷ হিন্দুদের যন্ত্রণাকে যেভাবে দেখানো হয়েছে, এবং মুসলিমদের অত্যাচারের যে ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার জেরে দুই ধর্মের মানুষের মনেই তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ৷ এই সিনেমা মুক্তির পর থেকেই ইতিহাস ঘেঁটে বিভিন্ন নির্মম রহস্যজনক ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে আসছে মানুষের আলোচনায়৷
এবার আরও একটা সত্য নিয়ে তৈরি হতে চলেছে ছবি। যার নাম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (the Kerala Story)। এই ছবির মূল গল্প কেরালায় ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক কাহিনি। ৩২ হাজার জন মেয়ের কর্পূরের মত উবে যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাই তুলে ধরা হবে এই ছবিতে। তারা আজও ঘরে ফেরেনি।
ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে এই ছবির টিজার৷ যেখানে বলা হচ্ছে, ‘কেরালায় হাজার হাজার মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে এবং গত ১২ বছর ধরে বাড়ি ফেরেনি’। এই ভিডিওতে, ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক লোকের কান্নার আওয়াজও শোনা যাচ্ছে। ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে যে এই ১০ বছরে হাজার হাজার মেয়েকে ইস্লামিক সংগঠন আইএসআইএস এর জন্য পাচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ‘ভিএস অচ্যুতানন্দন’ ২৪ জুলাই ২০১০-এ দেওয়া বক্তৃতার একটি ক্লিপও দেখা যাচ্ছে। সিনে বোদ্ধাদের মতে ‘কাশ্মীর ফাইলস’ অনেক পরিচালককে সত্য ঘটনা নিয়ে ছবি বানানোর সাহস জোগাচ্ছে৷