ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস(Shruti Das)। অভিনয় জগতে তার সফর বেশি দিনের না হলেও প্রথম সিরিয়াল ‘ত্রিনয়নী’ থেকেই দর্শকদের বিপুল ভালোবাসা পেয়ে চলেছেন এই টেলি নায়িকা। এরপরেই দ্বিতীয় সিরিয়াল ‘দেশের মাটি’র নোয়া চরিত্রের হাত ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান অভিনেত্রী। তবে মাস কয়েক হল শেষ হয়েছে শ্রুতির এই সিরিয়াল।
কোনোও দিন অভিনয় করার কথা ভাবেননি অভিনেত্রী শ্রুতি দাস, বরং নাচই ছিল তার ধ্যান জ্ঞান। এছাড়া টুকটাক গানও গাইতেন তিনি। কখনও যে অভিনয় করবেন তা ভেবেও দেখেননি শ্রুতি। নাচের মাধ্যমেই হঠাৎ করে অভিনয়ের সুযোগ আসে তার কাছে। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি।
অভিনেত্রী সত্তার বাইরেও শ্রুতির স্পষ্ট বক্তব্য, পার্সোনালিটি বেশ মন কাড়ে দর্শকদের। তারকাদের গ্ল্যামার উপভোগ করার চেয়ে তিনি বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন মাটির মানুষ হয়ে থাকতেই। মানুষের সাথে মিশে, মানুষের পাশে থাকার মধ্যেই তিনি খুঁজে পান আসল সাফল্য। এবারেও ফের পরিচয় পাওয়া গেল তার উদার মনের।
গত রবিবার বিশিষ্ট সমাজসেবী পাপিয়া করের ডাকে শ্রুতি পৌঁছে গিয়েছিলেন পথ শিশুদের পাঠশালায়। মা, বাবা, পরিবার, অভিভাবক হারা ওই বাচ্চাদের মাথার ছাতা হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে নিয়ে গিয়েছিলেন মিষ্টি৷ গোটা দিনটাই তাদের সাথে কাটান অভিনেত্রী, এরপর তাদের সাথে একাধিক ছবিও তোলেন৷ সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ও করেন শ্রুতি।
শ্রুতির দীর্ঘ পোস্ট থেকেই জানা যায় সমাজকর্মী পাপিয়া দেবী তার কাছে অনুরোধ করে বলেছিলেন, “আগে ওই বাচ্চারা রাত জেগে ডেনড্রাইটের নেশা করত, এখন সারারাত জেগে হাতের কাজ এর নেশা করে,নাচ গান করে,লেখাপড়া করে,তুমি আসবে এই আনন্দে ওরা নিজের হাতে উপহার বানিয়েছে,তুমি আসবে তো?” এই ডাক আর উপেক্ষা করতে পারেননি শ্রুতি। অনেক ক্লান্তি নিয়েই তিনি ছুটে গেছিলেন ওই বাচ্চাদের কাছে৷ তিনি আরও জানিয়েছেন সময় পেলেই তিনি ওদের কাছে যান।
শ্রুতির কথায়, ‘আমি কাটোয়া গিয়ে সময় পেলেও আমার ভাইবোন দের কাছে ছুটে যাই,আমার কাছে টানা উপার্জন না থাকায় আমি কখনো সেভাবে কাউকে অর্থ সাহায্য করতে পারিনা অনেকসময় ,তবে যাই ওদের ভালোবাসার ছোটোখাটো কিছু জিনিস নিয়ে,ছবিও পোষ্ট করি যাতে এই ঠিকানা গুলো পেয়ে যথাযথ উপযুক্ত কিছু মানুষ যাতে ওদের কাছে ছুটে যায় এবং সাধ্যমতো পাশে থাকে।’
তিনি আরও জানান, “আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে কথা দিচ্ছি সাধ্যমতো পাশে থাকব সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের পাশে। আর যদি কোনোদিন যথাযথ অর্থ উপার্জন করতে পারি আমার শিল্পী সত্ত্বা দিয়ে,আমি কিছু করে যাব এই সকল মানুষদের জন্য।”