বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) এখন টক অফ দ্য টাউন। বিগত ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই সিনেমা। যার মাধ্যমে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরী পন্ডিতদের ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম অত্যাচারের কাহিনী অত্যন্ত নিঁখুতভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। মাত্র ১৩ দিনে ভারতে ২১৯ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত এই ছবিটি।
তবে এই সিনেমা মুক্তির পর থেকে দেশজুড়ে যেমন উপচে পড়েছে অসংখ্য মানুষের ঢালাও প্রশংসা, তেমনই ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে একটা বড় অংশের অভিযোগ উস্কানিমূলক সিনেমা বানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষপাতীত্ব করেছেন পরিচালক। তবে কাশ্মীরী পন্ডিতদের ওপর ঘটে যাওয়া এমন নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে একটা সাহসী সিনেমা বানানোর জন্য পরিচালককে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও।
এই তালিকায় রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজসিং চৌহান। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশে করমুক্ত করা হয়েছে ছবিটি। আর সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিবেক আরজি জানান, ‘মধ্যপ্রদেশের মাটিতে গণহত্যা নিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হোক। যাতে সারা বিশ্ব দেখতে পারে এমন ঘটনার নৃশংসতা। আর সেটা থেকে শিক্ষা নিতে পারে।’ বিবেকের এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তখনই শিবরাজ সিং চৌহান মিউজিয়াম তৈরির জন্য পরিচালককে জমি দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেশজুড়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর বিরাট সাফল্যের মধ্যেই এবার এক আইনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন খোদ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিবেক নিজে হলেন ভূপালের বাসিন্দা। আর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভোপালবাসীদের ‘সমকামী’ বলে মন্তব্য করে বসেন বিবেক। আর তার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই মুম্বইয়ের একটি জনসংযোগকারী সংস্থার ম্যানেজার রোহিত পাণ্ডে পরিচালকের নামে ভারাসোভা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জানা যায় ওই যুবক নিজেও মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাসিন্দা।
আসলে ওইদিনের ওই সাক্ষাৎকারের বিবেক বলেছিলেন ‘‘আমি নিজেও ভোপালের ছেলে। কিন্তু নিজেকে ভোপালি বলি না। কারণ, কোনও গণ্ডিতে নিজেকে বাঁধতে চাই না আমি। কিন্তু কোনও মানুষ যদি নিজেকে ভোপালি বলে, সাধারণত লোকে ভাবে সে সমকামী।” তবে নিজের এমন মন্তব্যের কারণ ব্যাখ্যা করে বিবেক বলেছিলেন ভোপালবাসীকে সমকামী ভাবার কারণ তাঁরা ‘নবাবি’ আদবকায়দা নিয়ে খুবই শৌখিন।