আমরা যারা টিভির এপারে বসে নিয়মিত ছবি, ধারাবাহিক, রিয়েলিটি শো দেখি তারা ভেবেই নিই ওপারের তারকাদের জগতটা ভীষণ ঝাঁচকচকে,তাদের কোনোও দুঃখ নেই, না আছে কোনও কষ্ট। কিন্তু সত্যিই কি তাই? আসলে পর্দায় তাদের অভিনয় দেখতে দেখতে আমরা কখন যেন ভুলেই যাই, যে তারাও মানুষ। আর ৫ জনের মতো তাদেরও দুঃখ, কষ্ট, রাগ, অভিমান থাকতে পারে। সম্প্রতি এমনই এক উদাহরণ হয়ে সামনে এলেন অভিনেত্রী সোহিনী সান্যাল (Sohini Sanyal)।
যারা বাংলা ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা সোহিনীকে চেনেন না, এটা হতে পারেনা। টেলি পাড়ার জনপ্রিয় মুখ তিনি। গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে কাজ করে বেড়াচ্ছেন তিনি। তবে নায়িকার চরিত্রে তাকে কখনোই দেখা যায়নি, কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বিপুল ভালোবাসা পেয়েছেন দর্শকদের কাছ থেকে।
সম্প্রতি দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে এসে বেজায় আক্ষেপের সুর শোনা গেল অভিনেত্রীর গলায়। এত হাসি খুশি একজন মানুষ যে এভাবে বুকে পাথর চেপে ঘোরেন সোহিনীকে না দেখলে তা বোঝারই উপায় থাকত না। এই মঞ্চে এসে রচনা ব্যানার্জির কাছে নিজের নিজের সংগ্রামের কথা জানান অভিনেত্রী।
তিনি জানান তার অসুস্থ মা’কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রতিমাসে ৯৬ হাজার টাকা করে খরচ হত সোহিনীর। ভাগ্য তার সাথ দেয়নি। সারা জীবন কখনও বসে থাকেননি সোহিনী, ১৫ বছরে কোনোও ব্রেকও নেননি। মাকে সুস্থ রাখার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ তার আক্ষেপ এত লড়াইয়ের পরেও মা’কে বাঁচাতে পারেননি সোহিনী। রচনা ব্যানার্জিকে একথা বলতে বলতে চোখে কার্যত জল এসে গিয়েছিল তার , এখন তার নিজের বলতে আছে কেবল স্বামী আর তাদের একমাত্র পোষ্য।