বলিউডি প্রথম ছবিতে সাফল্য পেয়েছেন এমন তারকাদের সংখ্যা খুবই কম। আর শুরুতেই সাফল্য পেয়েছেন এমন একজন হলেন বললিউডের দাঙ্গাল গার্ল ফাতিমা সানা শেখ। আমির খানের সুপারহিট ছবি দাঙ্গাল এর মধ্যে দিয়েই বলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী। প্রথম ছবিই সুপারহিট হয়েছিল, সাথে মিলেছিল ব্যাপক জনপ্রিয়তা। কিন্তু ডেবিউ ছবি হিট হলেও হারিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
ক্যারিয়ারের শুরুতে বড় সাফল্য থাকলেও বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অসুবিধার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন ফাতিমা। বলিউডে কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল কাজ খুঁজতে গিয়ে সেই কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। যেটা ইন্ডাস্ট্রির নোংরা দিক আবারও একবার চর্চায় তুলে এনেছে।
ফাতিমার মতে, শুরুতে ইন্ডাস্ট্রিতে সুন্দরী না হওয়ার জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছিল তাকে। যেহেতু তিনি দীপিকা পাডুকোন বা ঐশ্বর্য রাইয়ের মত সুন্দরী নন তাই কাজ পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এমনকি বলিউডের নোংরা দিক কাস্টিং কাউচের সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কাস্টিং কাউচের শিকার না হতে চাওয়ায় অনেক ছবির জন্য প্রত্যাক্ষিত হয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে ফাতিমা বলেন, ‘এমন বহুবার হয়েছে যে আমায় শুনতে হয়েছে, আমি কখনোই নায়িকা হতে পারব না। আমি দীপিকা বা ঐশ্বর্যের মত সুন্দরী নই। লোকে বলবে এ কিভাবে নায়িকা হতে পারে। এভাবে অনেকেই আমার মনের জোর নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলো। তবে আমি হাল ছাড়িনি’।
এরপর অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ আমি যখন পিছনে ঘুরে তাকাই তখন বুঝতে পারি এখানে সবাই সৌন্দর্য দিয়েই প্রতিভা মাপেন। সুন্দরী হলেই নায়িকা হওয়া যেতেই পারে। আমি তাদের সাথে মানানসই না হলেও অন্য অনেক ক্ষেত্রে পারফেক্ট। এমন অনেক সিনেমা রয়েছে যেগুলো মার মত মেয়েদের জন্য তৈরী হয়েছে। তাই আমার জন্যও সুযোগ ঠিকই রয়েছে। প্রথমে কষ্ট করতে হবে, সমস্যা হবে’।
এরপর বলিউডে কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিন জানান, হ্যাঁ শুরুর দিকে কাস্টিং কাউচের শিকার হতে হয়েছিল। অনেকেই যৌনতার প্রস্তাব দিয়েছিল ,যেগুলোতে রাজি না হওয়ার কারণেই অনেক ছবির কাজ হারাতে হয়েছে। তবে বলিউডেই প্রথম যৌন হেনস্থার শিকার হয়নি, অনেক ছোট বেলাতেও এমন হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। মাত্র ৩ বয়সেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলাম। তাহলে ভাবুন পৃথিবীতে কিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই যৌন হেনস্থার বিষয়টি’।