বলিউডের অন্যতম সেরা গায়ক সোনু নিগম (Sonu Nigam)। তাঁর গায়িকি প্রসঙ্গে আলাদা করে কিছুই বলার প্রয়োজন নেই। কারণ এই বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আজকের গায়ক নন। বিগত কয়েক দশক ধরেই তাঁর গানের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছে গোটা দেশ। তার কন্ঠে ঠোঁট লিপ দিয়েছেন সলমন খান, শাহরুখ খান, আমির খানের মতো একাধিক নামি দামি নায়করাও। শুধু তাই নয় গানের রিয়েলিটি শোয়ের (Singing Reality Show) সাথেও তার ওঠা বসা বহুদিনের।
এখন সারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গানের নতুন প্রতিভাদের খুঁজে বার করার ক্ষেত্রে অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে এই রিয়ালিটি শো গুলোর।একটা সময় এমন ছিল যখন দেশের একের পর এক হিন্দি রিয়েলিটি শো মানেই সোনু নিগমের উপস্থিতি ছিল আবশ্যক। তাই হিন্দি টেলিভিশনের একাধিক রিয়ালিটি শোতে কখনও সঞ্চালক, কখনও বিচারক, আবার কখনও বিশেষ অতিথির ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সোনু নিগম কে।
সঙ্গীতশিল্পীর নিজের কথাতেই ‘প্রায় ২৭ বছর’।১৯৯৫ সালে ‘সা রে গা মা পা’ সঙ্গীত রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালক ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শিল্পী। এরপরেও জাতীয় স্তরের একাধিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। আমাদের দেশের অন্যতম ভার্সাটাইল সঙ্গীত শিল্পী সোনু নিগম। তাঁর গানের জাদুতে মুগ্ধ গোটা দুনিয়া। সম্প্রতি তাকে বিচারক হিসাবে দেখা যাচ্ছে বাংলার জনপ্রিয় মিউজিক রিয়ালিটি শো ‘সুপার সিঙ্গার সিজন ৩'(Super Singer Season 3) এর মঞ্চে।
আগামীকাল অর্থাৎ ২০ মার্চ ‘সুপার সিঙ্গার সিজন ৩’-র গ্রান্ড ফিনালে। একটানা ১০ ঘণ্টা ধরে চলবে ‘ফিনালে’ পর্ব। এই সিজনের ৭ ফাইনালিস্ট হলেন শুচিস্মিতা, মানসী, প্রণয়, কুমার গৌরব, সৌমী, দেয়াসিনি ও শুভজিৎ। সম্প্রতি বাংলার এই রিয়েলিটি শোয়ের সাথে হিন্দি রিয়ালিটি শোয়ের তুলনা করে সোনু বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা ভারতীয় রিয়েলিটি শোয়ের মূল উপাদান “ড্রামা”। আর সেখানেই আলাদা “সুপার সিঙ্গার”। এখানে আমাকে নাটক করতে হয়নি। আমি ঠিক যেমন, তেমনই থেকেছি। আমি যা বলতে চেয়েছি, যা মন থেকে ভেবেছি, সেটাই বলেছি।’
সেইসাথে সোনুর আরও সংযোজন ‘এই অনুষ্ঠান প্রচণ্ড সৎ। কারও গান শুনে নকল চোখের জল ফেলতে হয়নি। যদি কারও পারফর্ম্যান্সে কেঁদেছি, তাহলে সেটা সম্পূর্ণ সৎ ছিল।’ সুপার সিঙ্গার সিজন ৩’ প্রসঙ্গে শিল্পী আরও বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক যে এখানে আমরা শোয়ের সুবিধা দেখিনি। বরং প্রতিযোগীদের প্রয়োজনীয়তা দেখেছি, তাঁরা কীভাবে কমফর্টেবল থাকবে সেই চিন্তা করেছি। প্রত্যেককে সমান সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’