‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’ এর মঞ্চ থেকেই শো-য়ের বিজেতা পবনদীপ রাজন (Pawandeep Rajan) এবং গায়িকা অরুণিতা কাঞ্জিলালের (Arunita Kanjilal) রসায়ন বেজায় মনে ধরেছিল শ্রোতাদের। তাদের দুর্দান্ত কন্ঠের ভক্ত ৮ থেকে ৮০। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও তাদের গান যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ছেলে পবনদীপ ও বাংলার বনগাঁর মেয়ে অরুণিতা।
বর্তমানে ইন্ডিয়ান আইডলের দৌলতে জনপ্রিয় হয়ে বিদেশে পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছে দুজনে। বেশ কিছুটা অ্যালবাম তৈরী করেছে একসাথে। এমনকি মিউজিক ভিডিও পর্যন্ত তৈরি হয়ে গিয়েছে পবনদ্বীপ। ভারতে ও ভারতের বাইরে একাধিক পোগ্রামে গান গেয়েছে। সেই সমস্ত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলে নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পরে। আর এবার বাংলায় এল পবনদ্বীপ-অরুণিতার জুটি।
ভারতের বাইরে পবনদ্বীপ-অরুণিতারা যে শো গুলি করেছেন সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতেই ভাইরাল হয়ে পরে। বাংলার মঞ্চেও এসে পারফর্ম করেছেন দুজনে। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও নেটপাড়ায় ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে ঘাটাল উৎসবের মেলায় লাইভ পারফর্মেন্স করতে দেখা গেছে পবনদ্বীপ ও অরুণিতাকে। তাও আবার ‘তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো ছেড়ে দেব না’ বাংলা গানে।
প্রথমে মাইক হাতে ‘ তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো’ বলে গান শুরু করেছে অরুণিতা। এরপর গিটার কথা নিয়ে গান গাইতে শুরু করেছে পবনদ্বীপ শুরুতে পবনদ্বীপের গান শুনে অরুণিতাও মুচকি হাসি হেসেছে। তবে দুজনের যুগলবন্ধীতে এই লাইভ পারফর্মেন্সের ভিডিও কিন্তু বেশ মনে ধরেছে দর্শকদের। ভিডিও দেখে প্রশংসায় ভড়িয়েছেন নেটিজেনরা।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান আইডল বিজেতা হয়েছিল পবনদ্বীপ আর দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলো অরুণিতা। তবে বাংলার জনতার কাছে আসল বিজেতা কিন্তু অরুণিতাই। দুজনের মধ্যে প্রেম নিয়ে রিয়্যালিটি শো চললাকালীন সময় থেকেই গুঞ্জন রয়েছে। তবে একেঅপরকে দুজনের ভালো বন্ধু বলেই পরিচয় দিয়েছে দুজনেই। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে শো করে বেড়াচ্ছে দুজনের জুটি।
তবে সাফল্য পেয়ে দেশে বিদেশে শো করলেও সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এক নামি মিউজিক প্রোডাকশন হাউসের সাথে ইন্ডিয়ান আইডল শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি হয়েছিন পবনদ্বীপ ও অরুণিতার, একটি অ্যালবামের জন্য। একটি গান রেকর্ড হলেও বাকি রেকর্ডিংয়ের কাজের জন্য কোনো ইচ্ছাই প্রকাশ করেননি দুজনের কেউ, এমনকি যোগাযোগ পর্যন্ত করেন নি। তাই শেষমেষ ওই কোম্পানি মামলা করতে বাধ্য হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।