• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

দাদাগিরির মঞ্চে কুখ্যাত ডাকাত গোকুল নস্কর! ৪০ কেজি সোনার ডাকাতির গল্প শুনে অবাক নেটিজেনরা

বাঙালি  দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি রিয়্যালিটি শো দাদাগিরি (Dadgiri)। যেখানে সৌরভ গাঙ্গুলির সঞ্চালনায়  আরও জমে ওঠে আড্ডা আর খেলা। সাধারণ প্রতিযোগী থেকে টেলিভিশনের তারকারা হাজির হন এই দাদাগিরির মঞ্চে। আবার বিশেষ কিছু ব্যাক্তিত্বদেরকেও দেখা যায় দাদাগিরির মঞ্চে। জানলে অবাক হবেন, এক সময়ের কুখ্যাত এক ডাকাত পর্যন্ত প্রতিযোগী হয়ে দাদার সাথে খেলতে এসেছিলেন দাদাগিরিতে।

হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন দাদাগিরির মঞ্চে ডাকাত। সৌরভ গাঙ্গুলির (Sourav Ganguly) সাথে দাদাগিরির এই বিশেষ পর্ব বেশ পুরোনো। তবে সম্প্রতি নতুন করে এই বিশেষ পর্বের ভিডিও বেশ ভাইরাল হতে শুরু করেছে। আর শোতে প্রশ্ন উত্তরের পাশাপাশি নিজের পুরোনো জীবন অর্থাৎ ডাকাতির সময়ের কাহিনীও শুনিয়েছেন তিনি।

   

Dadagiri,Gokul Nashkar,দাদাগিরি,গোকুল নস্কর,সৌরভ গাঙ্গুলি,Sourav Ganguly,দাদাগিরিতে ডাকাত

এখন মনে নিশ্চই প্রশ্ন জাগছে কে এই ডাকাত? তাহলে বলি দাদগিররি মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন কুখ্যাত ডাক্তার গোকুল নস্কর (Gokul Nashkar)। শুরুতে তাঁর পরিচয় শুনেই চোখ বড় বড় হয়ে গিয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলির। তিনি নিজেই জানান যে হুগলি জেলার সবচাইতে বেশি ডাকাতি তিনিই করেছেন। এমনকি একসময় একটা বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ কেজি সোনা চুরি করেছিলেন। ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে চলেছে গুলি। তবে শেষমেষ পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

চুরি করা ৪০ কেজি সোনা ডাকাত দলের সঙ্গীদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন। এরপর সেটা নিয়ে হাজির হন কলকাতার বড় বাজারের এক মাড়োয়াড়ি ব্যবসায়ীর কাছে। সেখান থেকে সোনার টাকা বদলে টাকা পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। স্বয়ং ডাকাতের মুখ থেকে এমন কাহিনী শুনে রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছেন বাকি প্রতিযোগী থেকে শুরু করে উপস্থিত দর্শকেরাও।

https://youtu.be/hLGB-C55rT4

গোকুল ডাকাতের মুখে চুরির কাহিনী শুনে সৌরভ গাঙ্গিলী তাকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন। কেন ডাকাতি করতেন তিনি? যার উত্তরে একসময়ের কুখ্যাত ডাকাত জানান, দারিদ্রতাই ছিল ডাকাতির একমাত্র কারণ। সময়টা ১৯৭৭ এর সেই সময় জমিদারি প্রথা চলত। টাকার ওভাবেই ডাকাতি করা হত। একসময় ১৮-২০ জন ছিল তবে পুলিশের গুলি খেয়ে অনেকেই মারা গিয়েছেন। বর্তমানে দুজন বেঁচে রয়েছে, তাদের মধ্যেই একজন তিনি।