আজকাল পুরুষ থেকে মহিলা প্রায় সকলেই চুলের নানান সমস্যায় (Hair Problems) ভুগছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো কিশোর বয়সেই নারী পুরুষেরা অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যায় (White Hair Problem) ভোগেন। চুল পড়ে যাওয়া বা পেকে যাওয়া মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। অথচ আগেকার দিনের ঠাকুমা দিদিমাদের কত সুন্দর আর ঘন চুল থাকত। তখনকার দিনে এতো শ্যাম্পু বা হেয়ার প্রোডাক্ট না থাকলেও লম্বা ও ঘন চুল থাকতে তাদের। আজ চুল লম্বা ও ঘন করার উপায় (Make Hairs Long and Thick Naturally) নিয়ে হাজির হয়েছি।
তাই আজকাল কেমিক্যালের ভিড়ে প্রাকৃতিক উপাদানের বেশ চল হয়েছে। তবে টাকা দিয়ে যেগুলো কিনছেন সেগুলো কি আদৌ প্রাকৃতিক! আর চুলে শুধু দামি তেল, শ্যাম্পু বা হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করলে তো শুধু হয় না যত্নও নিতে হয়। আজ বংট্রেন্ডের পাতায় আপনাদের জানাবো কিভাবে প্রাকৃতিক উপায় একমাসের মধ্যেই চুল লম্বা ও ঘন করে তোলা যেতে পারে।
চুলের তেল (Hair Oil) : আজকাল অনেকেই মাথায় খুব একটা তেল দিতে চায় না। অথচ আমাদের ঠাকুমা দিদিমারা কিন্তু দিব্যি মাথায় তেল মাখতেন প্রতিদিনই। এখনকার দিনের স্টাইলের সাথে তেল মাখা চুল খুব একটা মানানসই না হলেও তেল মাখলে কিন্তু চুলের পুষ্টি যোগায়। তবে কোনো গন্ধওয়ালা তেল নয় বিশুদ্ধ নারকেল তেল মাখতে হবে। প্রতিদিন না পারলেও সপ্তাহে দু থেকে দিন তিন ভালো করে নারকেল তেল মেখে ২ ঘন্টা মত রেখে সেটাকে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। নিজেই এর প্রভাব লক্ষ করতে পারবেন।
চুল বাঁধা বা বিনুনি (Hair Style) : বর্তমানে ছোট থেকেই চুল বাড়তে শুরু হলে সবাই রাতে সবার আগে চুল বেঁধে শুতে যায়। এরজন্য কেউ বিনুনি করেন তো কেউ কোনোমতে বেঁধে শুয়ে পড়েন। তবে খেয়াল রাখতে হবে চুল যদি একেবারে চেপে চেপে বেঁধে রাখেন তাহলে চুলের আদতে ক্ষতি হয়। তাই রাত্রে শোবার সময় খোঁপা করে বা একটু ঢিলে করে চুল বেঁধেই শুতে যাওয়া ভালো।
গরম তেল দিয়ে চুলের ম্যাসাজ (Hot Oil Massage) : চুলের যত্নে তেলের উপকারিতা আগেই বলেছি। আগেকার দিনের সবাই চুলে তেল মাখতেন। তবে সেই তেলকেই যদি হট ম্যাসাজ করা যায় তাহলে তাঁর প্রভাব কিন্তু আরও বেশি হয়। কিভাবে? এর জন্য চুলে তেল মাখার বেশ কিছুক্ষণ আগে সেটাকে রোদে রেখে দিন, সূর্যের তাপে গরম হয়ে গেলেই সেই তেল মাথায় মানে চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন উপকার পাবেনই পাবেন।
চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু (Shampoo) : চুলের যত্নে শ্যাম্পু সবাই ব্যবহার করেন। তবে সবার সব শ্যাম্পু স্যুট নাই করতে পারে। তাই আপনাকে বুঝতে নিতে হবে কোন শ্যাম্পু আপনার চুলের জন্য উপকারী। এরপর বারবার শ্যাম্পু বদল না করে একটা শ্যাম্পুই ব্যবহার করুন। তাছাড়া শ্যাম্পু করার সময় শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে নয় বরং সামান্য জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিয়ে মাথা নিচু করে চুল সামনের দিকে এনে ভালো করে শ্যাম্পু করা উচিত।
শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনারের ব্যবহার (Conditioner) : শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। আর জানলে হয়তো অবাক হবেন চাইলে খুব সহজেই বাড়িতে কন্ডিশনার বানিয়ে নেওয়া যায়। এর জন্য চায়ের লিকার বা গ্রিন টি ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য কিছুটা জলের মধ্যে ১ চামচ চা দিয়ে সেটাকে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে নিন। এরপর সেই চায়ের জল দিয়েই শ্যাম্পুর ওর চুল ধুয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।