বাঙালির বিনোদনের ডেলিডোজ হল মেগা সিরিয়াল।তাই সারাদিনের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে অবসর মিলতেই পছন্দের সিরিয়াল দেখতে বসে সকলেই। দর্শকমহলে বাড়ছে বাংলা সিরিয়ালের চাহিদা। তাই ধীরে ধীরে ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে বাংলা সিরিয়ালের গন্ডিও।নতুনত্ব আনা হচ্ছে সিরিয়ালের বিষয়বস্তুতেও। তআই পছন্দের সিরিয়াল দেখা এখন দর্শকদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত গতকালই ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর আজকাল বেশীরভাগ সিরিয়ালেই অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে একাধিক নারীকেন্দ্রিক চরিত্র। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শকমহলে বিপুল জনপ্রিয় এমনই একটি সিরিয়াল হল ‘আয় তবে সহচরী’ (Aye Tobe Sohochori)। এই সিরিয়ালের শুরুতে মাঝ বয়সী মহিলা সহচরীর পড়াশোনা করে জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত লড়াই দিয়ে শুরু হয়েছিল।
কিন্তু, সময়ের সাথে সাথে অনান্য আর পাঁচটি সিরিয়ালের মতোই এই সিরিয়ালের গল্পেও এসে হাজির সাংসারিক কূটকচালির পাশাপাশি পরকীয়া। দিনের পর দিন সিরিয়ালের এমন একঘেয়ে বিরক্তিকর ট্রাক দেখে হাঁপিয়ে ওঠেন দর্শকদের একটা বড় অংশ। সহচরীর কলেজ, পড়াশোনা, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই সেসব বাদ দিয়ে দেবীনা চরিত্রের আগমনের পর থেকে পরকীয়াই হয়ে ওঠে এই সিরিয়ালের একমাত্র বিষয়।
তাই সিরিয়াল থেকে পরকীয়া বাদ দেওয়ার দাবিতে সরব হন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। এরপর দর্শকদের দাবি মেনে সম্প্রতি সিরিয়ালে ফিরে এসেছে পুরনো ট্রাক। এবার স্বামী, সাংসারিক জটিলতা সহ সমস্ত বাধা বিপত্তি ঠেলে সরিয়ে অফিসে চাকরি করতে যাচ্ছে সহচরী। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে একটি রেডিও স্টেশনে রেডিও জকির কাজ পেয়েছে সহচরী।
ইতিমধ্যেই সহচরী জানিয়ে দিয়েছে সে এখন থেকে বাড়ির বৌমা, এবং একমাত্র ছেলে টিপুর মা হলেও সমরেশ সেনগুপ্তর স্ত্রী নন। এরই মধ্যে সিরিয়ালে দেখা গেছে RJ হিসাবে কাজ করতে গিয়ে এক শ্রোতার প্রশ্নের মুখে পড়ে থ হয়ে যায় সহচরী। কারণ প্রথমেই সহচরীর কাছে প্রশ্ন আসে স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পারার পর এক অসহায় মহিলার। তার প্রশ্নের উত্তরে নিজের জীবন দিয়ে বোঝা অভিজ্ঞতার কথা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরে সহচরী।
View this post on Instagram