গত বছরের শেষের দিকেই অর্থাৎ অক্টোবর মাসেই শুরু হয়েছিল দেশের সবচেয়ে সুরেলা সফর সারেগামাপা। দীর্ঘ ২২ সপ্তাহের লড়াই শেষে বিজয়ীর ট্রফি জিতে বাংলার মুখ ঊজ্জ্বল করলেন বাঙালি কন্যা নীলাঞ্জনা। ঝলমলে ট্রফি হাতে শেষ হাসি হাসলেন বাংলার ছোট্ট শহর আলিপুরদুয়ারের মেয়ে নীলাঞ্জনা রায়। এছাড়াএদিন ফার্স্ট রানার আপ অর্থাৎ দ্বিতীয় হন বাংলার আর এক মেয়ে।
একটুর জন্য উইনারের ট্রফি হাতছাড়া হয় হুগলির বাসিন্দা রাজশ্রী বাগের । অন্যদিকে সেকেন্ড রানার আপ অর্থাৎ তৃতীয় স্থান দখল করেন মধ্যপ্রদেশের শরৎ শর্মা। তবে গ্রান্ড ফাইনালে উঠলেও এবারেও উইনারের ট্রফি জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল বাংলার দুই তারকা প্রতিযোগি স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক এবং অনন্যা চক্রবর্তীর।
উল্লেখ্য এবছর সারেগামাপা শুরু থেকেই একের পর এক চমকে ভরপুর ছিল। জাতীয় স্তরের এই সঙ্গীতের মহাযুদ্ধে শুরু থেকেই দেখা যায় বাংলার জয়জয়কার। একইমঞ্চে অংশ নিতে দেখা যায় বাংলার ৬ প্রতিযোগিকে। বাংলার এই ছয় মুখ হলেন স্নিগ্ধজিৎ ভোমিক, অনন্যা চক্রবর্তী, নীলাঞ্জনা রায়, কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়, দীপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আর রাজশ্রী বাগ।
যদিও শোয়ের মাঝপথেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন কিঞ্জল। আর ফাইনালের সপ্তাহখানেক আগেই আউট হয়ে যায় দীপায়ন। ফাইনালে পৌঁছান বাকি ৪ জন সাথে ছিলেন দুই সন্তানের মা সঞ্জনা ভাট আর শরৎ শর্মা। সঞ্জনা দুই মেয়ের মা। তবে এদিন শেষপর্যন্ত উননারের ট্রফি ওঠে আলিপুরদুয়ারের মেয়ে নীলাঞ্জনার হাতে।
উল্লেখ্য নীলাঞ্জনা এই শোয়ের সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগি।মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এত বড় সম্মান পাওয়ার পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকার চেক পেলেন তিনি। সঙ্গে পেলেন একটি মারুতি সুজুকি সেলেরিও। এদিন উইনারের ট্রফি হাতে নিয়ে উচ্ছসিত নীলাঞ্জনা বলেন ‘এই ট্রফিটি তুলে নিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তবে আমার কাছে মূল লক্ষ্য ছিল দর্শকদের মন জয় করা এবং তাদের ভালোবাসা অর্জন করা। মানুষের এত ভালোবাসা পাওয়ার পর ট্রফি জেতাটা একটা বোনাসের মতো।’ সামনেই রয়েছে তার দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা তাই এবার বাড়ি গিয়েই পড়াশোনায় ফোকাস করতে চান নীলঞ্জনা।