দেখতে দেখতে সপ্তাহ দুয়েক পেরিয়ে গেল আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি (Bappi Lahiri)। ইতিমধ্যেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এবার তাঁর শেষ চিহ্ন টুকুও ভেসে গেল গঙ্গাবক্ষে। প্রয়াত ডিস্ক কিংয়ের ইচ্ছা ছিল কলকাতায় বিসর্জন করা হোক তাঁর অস্থি। বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে ছেলে বাপ্পা (Bappa Lahiri) কলকাতাতে এসেই করলেন বাপ্পি লাহিড়ির অস্থি বিসর্জন। বাপ্পার মতে, এটাই ছিল বাবার শেষ ইচ্ছা।
আসলে কলকাতার সাথে বেশ গভীর সম্পর্ক রয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির। বাংলার মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন সেটা সত্যিই অভূতপূর্ব। তাই তো মুম্বাইতে থাকলেও আচার আচরণে একেবারে বাঙালি ছিলেন বাপ্পি দা। সেই কারণেই মৃত্যুর পর শেষ ইচ্ছায় চেয়েছিলেন কলকাতায় ফিরতে। বাবার শেষ ইচ্ছা অক্ষরে অক্ষরে পালন করল ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি।
এদিন অস্থি বিসর্জনের জন্যই মুম্বাই থেকে কলকাতায় উড়ে এসেছিলেন বাপ্পা। কলকাতার আউট্রাম ঘাটে অস্থি বিসর্জন করতাই গঙ্গার জলে বিলীন হয়ে যান বাংলার গর্ব বাপ্পি লাহিড়ী। ছেলে বাপ্পা এদিন জানান, পরিবারের প্রথা অনুযায়ী এটা হয়ে আসছে। ঠাকুরদা থেকে ঠাকুমার শেষকৃত্যও হয়েছিল কলকাতাতেই। তাই মুম্বাইতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন করে বাবাকেও কলকাতাতেই শেষ বিদায় জানালেন।
প্রসঙ্গত, বিগত ১৬ই ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি। যেমটা জানা গিয়েছে, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (Obstructive Sleep Apnea) এর কারণে ঘুমের মধ্যেই শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছেন তিনি। যদিও ছেলে বাপ্পার মতে মৃত্যুর কারণ অন্য কিছু। বাবা শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছেন এটা তিনি বিশ্বাস করেন না।
দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। জানুয়ারি মাস থেকেই হাসপাতালে ছিলেন, গোটা মাসটা সেখানেই কেটেছে। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ১৪ই ফেব্রুয়ারি হটাৎ করেই খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেন। তারপর পরিস্থিতি খারাপ হতে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এবার আর ফেরানো যায়নি তাকে। নিজের সুরের সমাহার রেখে সুরের দেশে পাড়ি দিলেন ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ি।