মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali) এই নামটা শোনেননি এমন বাঙালি নেই। বাঙালির সকালই শুরু হয় ‘রেডিও মির্চির’ (Radio Mirchi) অনুষ্ঠান দিয়ে। আর সকালে রেডিও মির্চি মানেই সকাল ম্যান মীরের অনুষ্ঠান। রেডিও বাদ দিয়েও মীরের বেজায় জনপ্রিয়তা টেলিভিশনেও। তিনি যেমন একাধারে দারুণ সঞ্চালক, তেমন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান আবার একজন অভিনেতাও তিনি। তবে সবার আগে তার জনপ্রিয়তা একজন ভালো মানুষ হিসেবেও। হাসির আঙ্গিকেও তার বলা একেকটা কথা মনে গভীর ভাবে দাগ কেটে যায়।
কিন্তু কিছু কিছু সময় তার কথাই বিষবাক্য বলে মনে হয় এক শ্রেণীর নেটিজেনদের কাছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’-এর মত গালভারী শব্দ যে শুধু খাতায়-কলমেই রয়ে গিয়েছে, তা আবারও বোঝা গেল সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। শিবরাত্রির উন্মাদনা ঘিরে সঞ্চালক ও অভিনেতা মীর আফসার আলীকে পড়তে হল সোশ্যাল মিডিয়ার ‘অ্যান্টি-সোশ্যাল’-দের শাসানির মুখে।
আসলে যেকোনোও উৎসবে উপলক্ষেই তা হিন্দু, মুসলিম, খ্রীস্টান যাদেরই হোক না কেন, মীর শুভেচ্ছা জানান নিজস্ব ভঙ্গিতে৷ গত কালকেই ছিল মহা শিবরাত্রি, এদিনও মীর স্বভাবতই নিজের শিব অবতারের একটি ছবি পোস্ট করে একটি মজাদার ক্যাপশন লেখেন৷ যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘জীবনে কখনও কখনও পয়সা রোজগারের জন্য বহুরূপী সাজতে হয়। ‘
মহা শিবরাত্রির দিন শিব সেজে ছবি দিয়ে এহেন মন্তব্য করায় নেটিজেনদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে মীরকে। তাদের বক্তব্য এই পোস্টটি শিবরাত্রির সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত? পাশাপাশি মীরের বিরুদ্ধে তাদেরই তাদেরই কেউ কেউ অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন তিনি প্রায়শই হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেন৷ এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাগাতে আঘাত দিচ্ছেন তিনি।
এর আগেও দুর্গা অষ্টমীর দিন পাঞ্জাবি ও জওহর কোট পরিহিত একটি ছবি পোস্ট করে মীর লেখেন, ”ধীরে ধীরে পুজো মুডে ঢুকছে দেখো কে… ” নিজের ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার বদলে গেরুয়া পাঞ্জাবি পরা একটি ছবি দেন মীর। হাতজোড় করে উৎসবের মেজাজকে বাহবা দেওয়া ছাড়া অন্যকিছুই যে করেননি মীর, সে বিষয়ে একমত সমাজের সচেতন নেটিজেনরা। যদিও একদল উগ্র ধর্মীয় মানুষের কমেন্ট-এ মীরের কমেন্টবক্স পরিণত হয় উগ্রপন্থীদের বিচরণক্ষেত্র হিসেবে!