আজ থেকে প্রায় ৫ ৬ বছর আগে দেব, জিৎ কিংবা অঙ্কুশের সিনেমায় নায়িকার বাবা অথবা ভিলেনের চরিত্রে খুব পরিচিত মুখ ছিলেন অভিনেতা সুপ্রিয় দত্ত৷ খলনায়ক থেকে কমেডি চরিত্র সবেতেই তিনি সাবলীল। টলিউডের কমার্শিয়াল ছবির অপরিহার্য অভিনেতা ছিলেন তিনি। তবে জানলে অবাক হবেন কোনোও সোর্স ছাড়া, নিজের চেষ্টায় এক্কেবারে শূণ্য থেকে শুরু করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
গ্রামের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারেই জন্ম হয়েছিল অভিনেতার।মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় অভাবের মধ্যে কেটেছিল শৈশব। তবে ছোট থেকেই পড়াশোনায় বেশ মেধাবী ছিলেন অভিনেতা। কিন্তু পেটের দায় বড় দায়। পয়সা না থাকলে কি আর নিশ্চিন্তে লেখাপড়ায় মন দেওয়া যায়? শোনা যায় একটা সময় চপ ভেজেও পেট চালিয়েছেন অভিনেতা।
কিন্তু তার বাবা মা সবসময়ই চাইতেন ছেলে লেখাপড়া করে চাকরি করুক। তাই অভিনেতাকে অসংখ্য উৎসাহ ও দিতেন তারা৷ কিন্তু লেখা পড়ার পাশাপাশি সুপ্রিয় বাবুর অভিনয়ের প্রতিও ছিল বেজায় আগ্রহ। সেই কারণেই লেখাপড়ার পর কলকাতায় গিয়ে থিয়েটার দল জয়েন করেন তিনি৷
নাটকের মঞ্চ থেকেই মিলেছিল টলিউডে প্রবেশের সুবর্ণ সুযোগ। বিখ্যাত পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নজরে পড়েন অভিনেতা। এরপর ২০০৮ ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবিতে প্রথম কমার্শিয়াল ধারায় দেখা মেলে তার। যদিও এর আগে ২০০৬ সালে সুমন মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘হারবার্ট’ এও অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর একে একে চ্যালেঞ্জ, যে ছক্কা, দুই পৃথিবী, সেদিন দেখা হয়েছিল এর মত একাধিক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নেন সুপ্রিয় দত্ত।
এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতা সুপ্রিয় দত্তকে। পর পর তার হাতে আসতে থাকে কাজ। এখন শুধু বড়পর্দা নয় ছোট পর্দাতেও চুটিয়ে অভিনয় করছেন অভিনেতা। তার সংগ্রামই প্রমাণ করে দেয় পরিশ্রমের ফল কখনোই বৃথা যায় না।