করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় দিনের পর দিন ছবি মুক্তির তারিখ পিছিয়ে গেলেও অবশেষে ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয়লীলা বানশালি পরিচালিত বহু প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়ায়াড়ি’। ছবি মুক্তির আগে গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরে গিয়ে এই ছবির হয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন আলিয়া। তেমনই কিছুদিন আগেই এই সিনেমার প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন আলিয়া।
তিলোত্তমা কলকাতায় এসে এদিন ‘মেরি জান’ গানের মিউজিক লঞ্চে এসে পুরদস্তুর বাঙালি সাজে ধরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এদিন মহেশ ভাট কন্যা আলিয়ার পরনে ছিল সাদা ঢাকাই জামদানির সাথে পিঠখোলা স্লিভলেস ব্লাউজ। সাথে বাঙালিয়ানা বজায় রেখে খোঁপায় গুজেছিলেন সাদা গোলাপ, আর কানে পরেছিলেন মানানসই বড় কানের দুল।
শুধু পোশাকেই নয় কলকাতায় এসে ডায়েট ভুলেছিলেন একের পর এক পছন্দের মিষ্টি মুখে পুরেছিলেন অভিনেত্রী। সাধারণত কলকাতায় এসে সবাই পছন্দের মিষ্টি হিসাবে রসগোল্লা খুঁজলেও বাংলার জলভরা সন্দেশই হল ভাট কন্যার ভীষণ পছন্দের মিষ্টি। তাই হাতের কাছে সেই মিষ্টি পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে মুখে পুরে দেন আলিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে শুধু মিষ্টি নয়, কলকাতার মানুষের চালচলন, কথা বলা, সংস্কৃতি সবকিছুই মুগ্ধ করে বলিউডের ‘গাঙ্গুবাঈ’ আলিয়াকে। এখানেই শেষ নয় অভিনেত্রীর বং কানেকশনের শেষ হয়নি এখানেই।’গাঙ্গুবাঈ কাথিয়ায়াড়ি’ মুক্তির পরেই আপাতত আসন্ন সিনেমা ‘রকি ওউর রানি কী প্রেম কাহানি’র শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন আলিয়া।
এই সিনেমার সুবাদেই বর্তমানে দুই বাঙালির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন আলিয়া। এই নতুন ছবিতে টোটা রায়চৌধুরী ও চূর্ণি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করছেন আলিয়া। তাই সেটে কখনও বাংলা বলার প্রয়োজন হলে তা শিখে নিচ্ছেন এই দুই বাঙালি তারকার থেকেই। সম্প্রতি আলিয়া জানিয়েছেন ‘সেটে আমায় বাংলা শিখিয়ে দেন টোটা স্যার, চূর্ণি ম্যাম’।এরপর টোটা এবং চূর্ণির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন নায়িকা।