বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সুপারস্টার হলেন অভিনেতা শাহীদ কাপুর। অথচ ২০১৯ সালে ‘কবীর সিং’ মুক্তির পর থেকে তার হাতে কাজ ছিল না দীর্ঘদিন। উল্লেখ্য কবীর সিং ছিল শাহীদ কাপুরের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন সিনেমা। শুধু ‘কবীর সিং’ ই কেন এক সময়ে বছরে দু তিনটে করে হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিতেন অভিনেতা।
কিন্তু রাতারাতি তিনি সুপারস্টার হিয়ে যাননি, বরং বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছেন অভিনেতা। তিনি হলেন বলিউডের স্টার কিডদের একজন। কিন্তু কোনোও গড ফাদার এসে তার কেরিয়ার সেট করে দিয়ে যায়নি। ইন্ডাস্ট্রিতে অসংখ্য উত্থান পতনেত পর তবেই তিনি আজ এই জায়গায়।
তবে হাল ছাড়েননি অভিনেতা। অনেক সংগ্রামের পরেই তিনি বলিউডে নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন। সম্প্রতি ৪১ বছরে পা দিয়েছেন অভিনেতা৷ ১৯৮১ সালে ২৫ শে ফেব্রুয়ারি তিনি দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাত্র তিন বছর বয়সেই শাহীদের বাবা মায়ের বিচ্ছেদ দেখেন অভিনেতা। এরপর মায়ের হাত ধরেই সে দিল্লি চলে আসে।
সেখানেই পড়াশোনা শেষ করেন শাহীদ। ছোট বেলা থেকেই শাহীদ কাপুরের নাচের উপর দারুণ আগ্রহ। এরপরে তার শুরুটা বড় বড় তারকাদের পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবেই হয়েছিল। ঐশ্বর্য রায়, কারিশমা কাপুর, শাহরুখ খানের মত বড় তারকাদের পেছনেও ব্যাক ড্যান্সার হিসেবে নেচেছিলেন।
পেপসি, কোকাকোলা, ক্লোজ আপের বিজ্ঞাপনও তিনি করেছেন৷ তিনি ২০০৩ সালে ‘ইশক ভিশক,’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন প্রধান অভিনেতা হিসাবে। তার প্রথম ছবিই সুপার হিট হয়েছিল। এরপর একে একে জব উই মেট, কবীর সিং, পদ্মাবত, উড়তা পাঞ্জাবের মত ছবি হিট দিয়েছেন তিনি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, একসময় অডিশান দেপ্যার জন্য বাসভাড়া টুকুও থাকত না তার৷