২০২২ সালের শুরুটা যেন বিগত দুই বছরের মত দুঃখের স্মৃতিতে ভরিয়ে তুলল। করোনা মহামারী থেকে যখন সুস্থ হয়ে উঠছে দেশ তথা পৃথিবী সেই সময়েই আসতে থাকে একেরপর এক দুঃসংবাদ। ১৮ই জানুয়ারি প্রয়াত হন ‘হাঁদা ভোঁদা’ সৃষ্টিকর্তা নারায়ণ দেবনাথ (Narayan Debnath)। এরপর সরস্বতীর বিসর্জনের দিনে এল দুঃসংবাদ, প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। এরপর একে একে তারার দেশে চলে গিয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee) ও বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri)।
এর আগে গতবছর প্রয়াত হয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। দেশের প্রতিভাসম্পন্ন কিংবদন্তি শিল্পীদের প্রয়াণে যেন শুনি হয়ে যাচ্ছে সংস্কৃতি। যদিও মৃত্যুতেই শেষ নয়, নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে যুগ যুগ ধরে অমর থাকবেন তাঁরা। এবার এই সমস্ত কিংবদন্তীদের চির স্মরণীয় করে তুলতে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) তরফে।
ভারতরত্ন তথা সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের নামে একটি উদ্যান তৈরির ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। যেখানে তাঁর একটি মূর্তি বসানো হবে। এখানেই শেষ নয়, বাংলার গর্ব তথা গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও নারায়ণ দেবনাথের নামেও তৈরী করা হবে নতুন উদ্যান। তবে সর্বপ্রথম লতাজির নামে তৈরী উদ্যানের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের মতে, দোলপূর্ণিমার আগে মূর্তি তৈরী সম্পূর্ণ হলেই উদ্যানের উদ্বোধন করা হবে। বিগত বৃহস্পতিবারেই এই ঘোষণা করেছেন তিনি পুরসভার অধিবেশন চলাকালীন। কোথায় হবে লতাজির নাম এই উদ্যান? জানা যাচ্ছে পাটুলির বি ব্লকে তৈরী হতে চলেছে এই পার্ক। সাথে বাকি উদ্যান তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশের রাস্তাতেই তৈরী হবে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নাম উদ্যান। আর নারায়ণ দেবনাথের নামে তৈরী উদ্যানের দেওয়ালে থাকবে তাঁর অমর সৃষ্টি ‘হাঁদা ভোঁদা’। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতা টাউন হলে বাংলা তথা বাঙালির বিগত ৩০০ বছরের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্প দিয়ে তৈরী হবে সংগ্রহশালা ও গবেষণাগার। যেখানে বিখ্যাত সমস্ত মনীষী যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলা, জয় গোস্বামীর মত ব্যক্তিত্বদের সৃষ্টি সংরক্ষিত করা হবে।