বলিউডের প্রথমসারির অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone)। সম্প্রতি তাঁর ছবি ‘গেহরাইয়া’ (Gehraiyaan) মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে দীপিকার বিপরীতে সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীকে দেখা গিয়েছে। ছবির কাহিনী নিয়ে রিলিজের আগে থেকেই সমালোচনা বিতর্ক চলছে। নেটিজেনদের একাংশের মতে গোটা ছবিতে শুধুই শারীরিক সম্পর্ক আর যৌনতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এক কথাই ছবিটা সফট পর্ণ বলা যেতে পারে।
শকুন বাত্রা পরিচালিত এই ছবি নিয়ে ব্যাপক নিন্দা রটেছে নেটপাড়ায়। ছবির মূল কাহিনী, দীর্ঘ ৬ বছরের বিবাহিত জীবনে দমবন্ধ হওয়ার মত একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে আলিশার (ছবিতে দীপিকার চরিত্রের নাম) জীবনে। একাকিত্বে ভুগতে থাকা আলিশা তাঁর বোনের প্রেমিকের সাথে পরকীয়া শুরু করে। নেটিজেনদের অনেকের মতেই ছবির কোনো কাহিনীই নেই! মোটেও ভালো লাগেনি ছবি।
নেটিজেনদের অনেকেই অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করেছেন, বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে এখনও কি মানুষ মাথা ঘামায়! যার উত্তরে দীপিকা জানিয়েছেন, ‘আমি নিজেই বিশ্বাসঘাতকতা সহ্য করতে পারি না। তবে অন্য কারোর সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে পারবো না’। দীপিকার মতে, সংযোগের মাধ্যমেই সম্পর্ক তৈরী হয়। তাই সংযোগ যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে সম্পর্কও হারিয়ে যায় বলেই মনে হয়।
এখানেই শেষ নয়! দীপিকা আরো জানান, আকর্ষণ হওয়াটা খুব সাময়িক একটা বিষয়। মনোগ্যামি, শারীরিক আকর্ষণ একই কিন্তু কেউ যদি মানসিকভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে সেটা খুবই হতাশাজনক। দীপিকার এই মত শুনে অবশ্য নিন্দুকেরা থামেন নি। তাদের মতে ছবিতে এই ধরণের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করার আগে কি স্বামী রণবীর সিংয়ের থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন তিনি!
প্রসঙ্গত, গেহরাইয়া ছবির পর দীপিকার আরও কিছু ছবি রিলিজ করতে চলেছে। করোনার কারণে অনেক ছবির কাজ আটকে ছিল, তেমনি দীপিকারও একাধিক ছবির কাজ আটকে গিয়েছিল। শাহরুখ খানের সাথে ‘পাঠান’, হৃত্বিক রোশনের সাথে ‘ফাইটার’ ছবিতে দেখা যাবে দীপিকাকে। এছাড়াও দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস ও বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের সাথে ‘প্রজেক্ট কে’ ছবিতে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে।