কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর (Bappi Lahiri) প্রয়াণের পর একটা অদ্ভুত শূন্যতা তৈরি হয়েছে গানের জগতে। প্রিয় বাপ্পিদার এভাবে হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীর অকাল প্রয়াণে গভীর শোকে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী থেকে শুরু করে আত্মীয় পরিজন সকলে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতে মাত্র ৬৯ বছর বয়সেই মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ‘ডিস্কো কিং’(Disco King)।
হাসপাতাল সূত্রে খবর অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (OSA) এবং বুকের সংক্রমণে ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান এই শিল্পী। বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে গতকাল ভোরেই সুদূর লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থায় স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী। তার পথ চেয়েই ছিলেন বাড়ির সকলে। তাই তিনি ফিরতেই গতকাল মুম্বাইয়ের পবনহংস মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কিংবদন্তি শিল্পীর।
দেশের গোল্ডেন ম্যান বাপ্পি লাহিড়িকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে বুধবার থেকেই তাঁর বাড়িতে আনাগোনা লেগে ছিল বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বদের। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁর অন্তিমযাত্রাতেও শামিল হয়েছিলেন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির একাধিক পরিচিত মুখ। তালিকায় রয়েছেন মিকা সিং,থেকে শুরু করে শান, কুমার শানু, অনুরাধা পাড়োয়াল, অভিজিত সহ অনেকে।
তবে বাবার এমন আকস্মিক মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মেয়ে রিমা লাহিড়ী (Rema Lahiri)। এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ইলা অরুণ জানিয়েছেন, ‘ওঁনার ছেলে তো এসে গিয়েছে, বাপ্পিদার মেয়ের অবস্থা খুবই শোচনীয়, ও খুব ভেঙে পড়েছে। পরিবারের সকলেই এখন শোকে কাতর’। বৃহস্পতিবার বাপ্পি লাহিড়ির মরদেহ-র পিছনে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়েতে দেখা গিয়েছে রিমাকে।
প্রসঙ্গত গত মাস থেকেই একটানা ২৯দিন মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দেশের এই বঙ্গ সন্তান। সেসময় সর্বক্ষণ বাবার পাশেই ছিলেন মেয়ে রিমা। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ১৫ই ফ্রেব্রুয়ারি সোমবার বাড়ি ফিরেছিলেন বাপ্পিদা। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে পুনরায় তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে, আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু এবার আর ফেরানো গেল না বাপ্পিদাকে।