জানা নেই কার অভিশাপ লেগেছে। রোজ সকালে একের পর এক দুঃসংবাদ শুনে ঘুম ভাঙছে বাঙালির। একটা ক্ষত সারতে না সারতেই ফের আঘাতের পর আঘাত এসে লাগছে। আজ সকালেই মুম্বইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত হন গায়ক তথা সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গতকাল রাত থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি হতে শুরু করে।
তরিঘরি জুহুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন ‘গোল্ডেন কিং’কে। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও বাপ্পী লাহিড়ীকে বাঁচানো যায়নি। একটু বেশি আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ডিস্কো কিং৷ গতকাল প্রয়াত হয়েছেন বাংলা সঙ্গীত জগতের স্বর্ণ যুগের শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ও। স্বভাবতই আজ সকাল থেকে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে বাঙালিরা।
কিন্তু জানিয়ে রাখি, আজ ডিস্কো কিং বাপ্পী লাহিড়ী নামে পরিচিত হলেও, তার আসল নাম কিন্তু অন্য৷ অথচ তার আসল নামে তাকে কেউ চেনেই না। বাপ্পী লাহিড়ীর আসল নাম অলোকেশ লাহিড়ী। ১৯৫২ সালের ২৭ শে নভেম্বর তার জন্ম হয় কলকাতায়।
নিজের জন্ম দিনেই ১৯৭৭ সালে তিনি পরিণয়বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন চিত্রানি লাহিড়ীর সাথে। তাঁর পিতার নাম অপরেশ লাহিড়ী এবং মাতার নাম বনসারি লাহিড়ী। তার দুই সন্তান এক ছেলে এবং এক মেয়ে। ছেলের নাম বাপ্পী লাহিড়ী, আর মেয়ে রেমা লাহিড়ী। শৈশব থেকেই সঙ্গীতের সাথে ছিল তার সখ্যতা। বলিউডের চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় করে তোলেন রক ধারার গান। জয় করে নিয়েছিলেন কোটি শ্রোতার হৃদয়। সঙ্গীত পরিচালনাতেও সমান খ্যাতিমান ছিলেন, বাপ্পী লাহিড়ী।
দিন কয়েক আগেই ভুয়ো খবর রটেছিল ফুসফুসের অসুখের জেরে নাকি নিজের কন্ঠস্বর হারাতে বসেছেন বাপ্পী লাহিড়ী। কথা টুকুও নাকি বলতে পারছিলেন না তিনি। এই খবর কানে যাওয়া মাত্রই নিজের অসুস্থতার খবর নস্যাৎ করে বাপ্পী লাহিড়ী জানিয়েছিলেন, ‘আমার শরীর নিয়ে কিছু মিথ্যা খবর পড়ে ব্যথিত আমি। আমার ফ্যান ও শুভাকাঙ্খীদের আশীর্বাদে আমি সুস্থ আছি।’ কিন্তু সেবার জোর গলায় ভালো আছি বললেও, এবার কাউকে না জানিয়েই নিভৃতে সুরের দেশে পাড়ি দিলেন বাপ্পী লাহিড়ী।