মাত্র ১০ দিনের হেরফের। এরই মধ্যে সঙ্গীত জগতে পরপর ৩ নক্ষত্র পতন। গত ৬ ফ্রেব্রুয়ারি রবিবার মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সুর সাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। সেই ক্ষত সারতে না সারতেই গতকাল রাতেই বাংলার সঙ্গীত জগতে নেমে ফের নেমে আসে শোকের ছায়া।কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
এই গভীর শোকের মধ্যেই বুধবার সকালেই ফের এক দুঃসংবাদে ঘুম ভাঙল সকলের। মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের জুহুর ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ী। স্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিল সমস্যার কারণেই এদিন মাত্র ৬৯ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সঙ্গীত শিল্পী। তবে জানা যাচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গায়ক-সুরকারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। সুরের এই সাক্ষাৎ দেবী সরস্বতীর প্রয়াণে সম্ভবত হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অসুস্থ শরীরে শোক জ্ঞাপন করেছিলেন দেশের ডিস্কো কিং। সেদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট বেলার একটি সাদাকালো ছবি শেয়ার করেছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। সেই ছবিতে দেখা যায় লতাজির কোলে বসে রয়েছেন ছোট্টো বাপ্পী লাহিড়ী। ক্যাপশনে শুধু লিখেছিলেন মা।
শোক জ্ঞাপন করে তিনি বলেছিলেন ‘আরও একবার মাতৃহারা হলাম।’ উল্লেখ্য লতাজির সাথে বাপ্পী লাহিড়ীর পরিচয় ছিল দীর্ঘদিনের। ভারতীয় নাইটেঙ্গলকে ‘মা’ বলেই ডাকতেন গোল্ডেন ম্যান। এক সাক্ষাৎকারে লতাজি প্রসঙ্গে এই কিংবদন্তি শিল্পী জানিয়েছিলেন ‘আমকে ছেলের মতোই দেখতেন তিনি। আমার বয়স যখন ২ বছর তখন থেকে চিনতেন, আমাদের কলকাতার বাড়িতে আসতেন।’
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে লতাজি প্রসঙ্গে স্মৃতি চারণা করে বাপ্পী লাহিড়ী জানিয়েছিলেন ‘আমার বয়স যখন ৪ বছর, তখন আমাদের কলকাতার বাড়িতে এসে, লতাজি আমাকে আশীর্বাদ করেছিলেন। তার কোলে বসে থাকা আমার ছবি এখনো আছে। তিনি আমার বাবার (অপরেশ লাহিড়ী) জন্য অনেক বাংলা গান গেয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তিনি দাদু সিনেমায় আমার প্রথম কম্পোজিশন গেয়েছিলেন। তাই সেসময় তিনি যদি আমার জন্য গান না গাইতেন, তাহলে আমি প্রতিযোগিতায় ভেসে যেতাম।’