গত ৬ই ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর , এবার ফের নক্ষত্র পতন সংগীত জগতে প্রয়াত গীতশ্রী গায়িকা (sandhya mukherjee) , বাংলার বুকে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। মৃত্যু কালে এই প্রবাদপ্রতিম গায়িকার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান গায়িকা।
বাংলা সংগীত জগতের স্বর্ণযুগ এর গান স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে যেসব শিল্পীদের জন্য তাদের একজন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শেষ বয়সেও তিনি গান ধরলে শ্রোতাদের উঠে যাওয়ার ক্ষমতা থাকত না। প্রায় ৫ দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ভাষার ছবিতে প্লেব্যাক গেয়েছেন গীতশ্রী। ইতিমধ্যেই তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সারা বাংলা জুড়ে।
এ শুধু গানের দিন ,এ লগন ও গান শোনাবার। কিন্তু আর গান শোনাবেন না সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি, চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন গীতশ্রীকে বাঁচাতে ,কিন্তু এত চেষ্টা করেও শেষ রাখা হল না। কিছুক্ষন আগেই আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন গায়িকা।
১৯৩১ সালের ৪থা অক্টবর কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলে জন্ম হয় সন্ধ্যা দেবীর। ৬ ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন মধুমালতীর গায়িকা। তার প্রথম প্লেব্যাকই কানে লেগেছিল ৮ থেকে ৮০ এর. উচ্চাঙ্গ সংগীতে তার সুমধুর কণ্ঠ শুনলে শ্রোতাদের চোখ বুজে আসত। গানের সাথেই কেটে গেল তার সারাটা জীবন। গানে গানেই তিনি শুনিয়েছিলেন , ‘জানিনা ফুরোবে কবে এই পথ চাওয়া ‘ আর আজ শেষ হয়ে গেল সন্ধ্যা মুখার্জির নিজের পথই। তাই আজ তার গানের কথা ধার করেই বলতে হয় ‘এ শুধু গানের দিন’.
বিস্তারিত আসছে একটু পরেই ……….