টানা দু’বছর বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ। খুদেদের বইয়ের সাথে কোনোও সম্পর্কই ছিলনা। অতিমারীর কবলে পড়ে মানুষ যখন এই চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে যে আদেও কাল বেঁচে থাকবে কিনা, তখন লেখাপড়ার কথা ভাবা তো বিলাসিতা। এখনও পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল খোলা হলেও, প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধই হয়েছে। এই শ্রেণির বাচ্চাদের থেকে রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজিত হয়েছে ‘পাড়ায় পাড়ায় বিদ্যালয়’।
এই ভাবেও কতটা লেখা পড়া তাদের মাথায় ঢুকছে এও প্রশ্নাতীত৷ গত দুবছর ধরে প্রাথমিক শ্রেণীর লেখাপড়া একদম বন্ধ। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছিলনা পাশ ফেলের বালাই। তার উপরের শ্রেণীর পড়ুয়াদের বাড়ি বসেই ক্লাস হয়েছে। এমনকি অনলাইনে পরীক্ষাও দিয়েছেন তারা৷ মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকেরও মূল্যায়ন করা হয়েছে পূর্ববর্তী নম্বরের ভিত্তিতে৷
কিন্তু এর জেরে যে কত বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তার হাতে নাতে প্রমাণ মিলল। আসলে এই ধরণের অনলাইন লেখাপড়ায় সবার আগে জরুরি ছিল একটি Android ফোন এবং নেটওয়ার্ক কানেনকশন। কিছু কিছু মানুষের কাছে এইটুকুও বিলাসিতা তাই এক শ্রেণির পড়ুয়ার কাছে স্কুল বন্ধ হওয়ার মানে লেখা পড়াও বন্ধ হয়ে যাওয়া।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা এই শিক্ষা ব্যবস্থার নগ্ন রূপকে তুলে ধরেছে৷ ভিডিওটি কোন জেলার বোঝা যাচ্ছেনা। তবে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পের ছবি তা বেশ ঠাহর করা যাচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রকে শিক্ষিকা জিজ্ঞেস করছেন, ‘লক ডাউনে গত দুবছরে কি শিখেছিস?’
ছাত্রের উত্তর দেখে রীতিমতো ‘থ’ নেটবাসী। সে ভুবন বাদ্যকরের ভাইরাল গান ‘কাঁচাবাদাম’ গেয়ে শোনায়। উল্লেখ্য এই গান শোনানি বর্তমানে এমন লোক সারা দেশ কেন বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এই গান গেয়েই সকলকে অবাক করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার হালও তুলে ধরেছে ওই ছাত্র।