রবিবারই দেবী সরস্বতীর ভাসানের দিনেই মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভারতের সুরসাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। দিদির প্রয়াণে মাথার ওপর থেকে ছাতার মতো বড় আশ্রয়টাই যেন আচমকা সরে গিয়েছে সঙ্গীত জগতের অপর এক কিংবদন্তী গায়িকা আশা ভোঁসলের। উল্লেখ্য লতা-আশা মানেই ভারতীয় সঙ্গীত জগতের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাই চিরকালের জন্য বড় দিদিকে হারিয়ে একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছেন আশা ভোঁসলে।
চিরকাল লতাজি এবং তাঁর বোন আশা ভোঁসলে (Asha Bhonsle)-র ব্যাক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কিন্তু সমস্ত জল্পনা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে একবার এক সাক্ষাৎকারে লতাজি বলেছিলেন ‘আমি আর আশা খুব ঘনিষ্ঠ। আমি জানি অনেকের হয়তো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। কিন্তু এটাই সত্যি। হ্যাঁ আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা ছিল অতীতে? কোন ভাই-বোনের মধ্যে না থাকে? ও অল্প বয়সে এমন কিছু করেছিল যা আমি মেনে নিতে পারিনি।’
আর শনিবারেই সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অসুস্থ দিদিকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে ছিলেন বোন আশা ভোঁসলে। রবিবার শিবাজী পার্কের শ্মশানে শেষবারের মতো দেখতে লতাদিদির অন্তিম ক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন আশা। শোকাহত বোন আশা দিদির দিকে শূন্য চোখে তাকিয়েছিলেন। এদিন প্রভুকুঞ্জের বাড়ি থেকে শিবাজী পার্কের শ্মশান অবধি দিদির শেষযাত্রায় সঙ্গী ছিলেন আশা।
রবিবার গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শৈশবের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন আশা। সেখানে তিনি লিখেছিলেন “ছোটবেলার দিন দারুণ ছিল। দিদি ও আমি।” এই ছবির সাথেই আশাজি শেয়ার করেছিলেন একটি হার্ট ইমোজি। এদিন ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা সেই সাদা কালো ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট দুই শিশুকে।
ফ্রক পরে মিষ্টি হাসি, মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তারা।লতা ও আশার এই চোখ জুড়নো ছবিটি একেবারে অদেখা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি টুলের উপরে বসে রয়েছেন আশা।একটু নীচেই টুলে হাতে ভর দিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে স্মাইল করছেন লতা। এই ছবির নীচে কমেন্ট বক্সে এ আর রহমান লিখেছেন, “মিষ্টি!” হৃত্বিক রোশন ও শ্রুতি হাসান হার্ট ইমোজি দিয়েছেন।