‘আরি ও সাম্ভা! কিতনে আদমি থে?’ শোলে (Sholey) ছবির এই ডায়লগ ছোট থেকে বড় সবারই চেনা। আসলে নায়ক হোক বা খলনায়ক অভিনয়ের দক্ষতায় আসল। আর বলিউডের এমনই একজন অভিনেতা আমজাদ খান (Amjad Khan)। নিজের দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জিতেছিলেন তিনি। তাই অভিনেতা প্রয়াত হলেও আজ সমস্ত সিনেমাপ্রেমী মানুষের মনে চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন।
নিজের অভিনয়ের জেরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আমজাদ খান। আর পছন্দের অভিনেতার সম্পর্কে জানতে সর্বদাই আগ্রহী থাকেন দর্শকেরা। আমজাদ খানের জীবনে একাধিক রহস্য ছিল যেটা অনেকেই জানান না। তাছাড়া পর্দায় ভিলেন হলেও বাস্তবে কিন্তু বেশ রোমান্টিক ছিলেন তিনি। আজ অভিনেতার জীবনের প্রেমের রহস্য আপনাদের কাছে তুলে ধরব। যেটা হয়তো আপনাদের কাছে একেবারেই অজানা।
বলিউডের ছবিতে অনেকেই অনেক ধরণের প্রেমকাহিনী দেখেছেন। তবে অভিনেতার প্রেমকাহিনী যেন নিজেই একটা বলিউড সিনেমার গল্প। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় থাকতেন আমজাদ খান, সেখানেই প্রতিবেশী হিসাবে থাকতেন ভবিষ্যতের তাঁর স্ত্রী শাইলা খান। একেঅপরের সাথে খেলা ধুলা থেকে পড়াশোনাও করতেন। একই কলেজে পড়তেন দুজনে। আর সেখান থেকেই শুরু প্রেমের। শাইলাকে ভালোবেসে ফেলেন আমজাদ খান।
অভিনেতা শাইলাকে তাঁর বয়স জিজ্ঞাসা করেন, যার উত্তরে তিনি জানান ১৪ বছর। সেই সময়েই আমজাদ খান বলেন, ‘তুমি তাড়াতাড়ি বড় হও, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।’ তাহলে বুঝতেই পারছেন পর্দার ভিলেন কিন্তু বাস্তবে একেবারেই প্রেমিক মানুষ ছিলেন। অভিনেতার স্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘আমায় এই প্রস্তাব দেবার পর আমজাদ আমার বাড়িতেও বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। তবে সেই সময় আমি খুবই ছোট ছিলাম, তাই পরিবারের লোক না করে দেয়’।
এরপর তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসা কিন্তু অটুট ছিল। বাড়ির লোক দুজনকে আলাদা করতে আমার পড়াশোনার জন্য আমাকে আলুগোরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু আমজাদের ভালোবাসা আমাকে মুম্বাই ফিরিয়ে নিয়ে আসে’। মুম্বাইতে ফিরে আসার পর বাড়ির লোককে না জানিয়েই লুকিয়ে দকেহা করতে থাকেন দুজনে। এরপর একসময় বাড়ির লোক শেষমেশ হার মানে দুজনের ভালোবাসার কাছে।
১৯৭২ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতেই আমজাদ খান ও শাইলা খানের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের একবছর পর ১৯৭৩ সালে তাদের প্রথম সন্তান শাদাবের জন্ম হয়। আর অনেকেই হয়তো জানেন না, প্রথম ছেলের জন্মদিনের দিনেই আমজাদ খান শোলে ছবিতে গব্বর চরিত্রের জন্য সিলেক্টেড হন। যেটা যুগ যুগ ধরে তাকে স্মরণীয় করে তুলেছে অগণিত দর্শকদের হৃদয়ে। অভিনেতা ১৯৯২ সালের ২৭শে জুলাই প্রয়াত হন। তবে তাঁর অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই তিনি আজও জীবিত রয়েছেন আর চিরকাল থাকবেন।