বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস(Shruti Das)। দর্শকমহলে বিপুল জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর অভিনয় জীবনের বয়স বেশি দিনের না হলেও প্রথম সিরিয়াল ‘ত্রিনয়নী’ থেকেই দর্শকদের বিপুল ভালোবাসা পেয়ে চলেছেন এই টেলি নায়িকা। এরপরেই দ্বিতীয় সিরিয়াল ‘দেশের মাটি’র নোয়া চরিত্রের হাত ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান অভিনেত্রী।
তবে জনপ্রিয়তার হাত ধরেই শ্রুতির নিত্য সঙ্গী হয়েছে বিতর্ক। কখনও গায়ের রঙ তো কখনও অসম বয়সী পরিচালকের সাথে সম্পর্কে থাকার জন্য কটাক্ষ বাদ যায়নি কিছুই। কিন্তু সমস্ত বিতর্ক, কটাক্ষ সবকিছু কে ছাপিয়ে গিয়েই শ্রুতি বরাবরই এগিয়ে গিয়েছেন আত্মবিশ্বাসের সাথে। উল্লেখ্য শ্রুতির প্রথম সিরিয়াল ত্রিনয়নীর পরিচালক ছিলেন স্বর্নেন্দু সমাদ্দার। আর সিরিয়ালের হাত ধরেই প্রেম শুরু হয় শ্রুতির।
বর্তমানে অভিনেত্রীর বয়স ২৫ আর পরিচালকের বয়স ৪০। তাই আর পাঁচটা বাঙালি পরিবারের মতোই শ্রুতির বাড়িতেও বিশেষ করে তার মায়ের প্রথম দিকে এই বয়সের বিস্তর ফারাক কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। স্বর্ণেন্দুকে জামাই হিসাবে একেবারেই পছন্দ ছিল না। বরং জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরীকেই জামাই হিসাবে পছন্দ করতেন তিনি।
একথা নাকি মুখের উপর একাধিকবার জানিয়েছিলেন শ্রুতির মা। উল্লেখ্য শ্রুতির প্রথম সিরিয়ালে তার বীপরীতে দীপ্ত চরিত্রে অভিনয় করছিলেন গৌরব। এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে শ্রুতি জানিয়েছেন ‘জামাই হিসেবে গৌরবকে পছন্দ করতেন মা, সেই শুনে মুখ ভার করে বসে থাকতেন স্বর্ণেন্দু। মন খারাপ হতো ওর। বেশ ভালো মতোই বুঝতে পারতাম ওর ব্যবহারে। আমাকে বলতো আমি তো জোর করে জুড়ে বসেছি। গৌরবকেই ভালোবাসেন মা।’
এরপরেই উদাহরণ দিয়ে অভিনেত্রীর আরও সংযোজন, ‘এমনও হয়েছে স্বর্ণেন্দু আমার মাকে আমার কথা জিজ্ঞেস করেছে। আমার মা উত্তর দিত আমার জামাইয়ের সঙ্গে খেতে বসেছে। তখন মা তো আসলে জানতই না আমার ও স্বর্ণের সম্পর্কের কথা।’ তবে সহ অভিনেতা হিসাবে গৌরবের সাথে দারুন বন্ধুত্ব শ্রুতির। তাই নতুন সিরিয়াল শুরুর আগে গৌরব দেখা না করায় এদিন বন্ধু গৌরব প্রসঙ্গে শ্রুতির মশকরা ‘নতুন নায়িকা পেলে গৌরবের আর অন্যদিকে হুঁশই থাকেনা।’