গুগলে ন্যাশনাল ক্রাশ বলে সার্চ করলেই সবার আগে জ্বল জ্বল করে দক্ষিণের মিষ্টি অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার (Rashmika Mandana) নাম। বলিউডের দীপিকা, কারিনা বা দিশা পাটানির মত অভিনেত্রীদেরও সৌন্দর্যে পিছনে ফেলে দিয়েছেন এই দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী। তার হাসিতে পাগল তরুণ প্রজন্ম।
২০১৬ সালে ‘কিরিক পার্টি’ নামক কন্নড় ছবির মধ্যে দিয়ে অভিনয়ের জগতে প্রকাশ্যে আসেন। কন্নড় ছাড়াও তেলেগু ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর অভিনয় ব্যাপক ভাবে দর্শকমনে দাগ কেটেছে। যার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে বলিউডেও প্রবেশ করেছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় রশ্মিকা। ২৬.৮ মিলিয়নেরও বেশি অনুগামী রয়েছে অভিনেত্রীর।
বলাই বাহুল্য, এযাবতকালের সবচেয়ে সুপারহিট ছবি পুষ্পাতে আল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করার পর থেকে তার জনপ্রিয়তা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় এরপর থেকে নিজের পারিশ্রমিকও এরপর থেকে এক ধাক্কায় কোটি টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন রশ্মিকা। তাকে রাস্তাঘাটে দেখতে পেলেই সর্বদা ক্যামেরা নিয়ে প্রস্তুত থাকেন পাপারাজ্জিরা। আর নানান ভিডিও ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা বসে যান ট্রোল করতে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে রশ্মিকার একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে মুম্বইয়ের একটি রেস্তোরাঁর বাইরে তাকে বেশ কিছু গরীব ক্ষুধার্ত বাচ্চা ছেঁকে ধরে। আসলে রশ্মিকার কাছে কিছু অর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন তারা, কিন্তু সেসবকে অগ্রাহ্য করে রশ্মিকাকে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়। আর এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে ওঠেন নেটনাগরিকদের একাংশ।
কেউ কেউ বলেন, “ইনি ন্যাশানাল ক্রাশ, অথচ গরীব বাচ্চার জন্য ১০ টাকা হাত থেকে বেরোয় না।”। আবার কেউ বলেছেন, “অভাবী মানুষকে সাহায্য করার মন না থাকলে বিখ্যাত হওয়ার কোনও মানে নেই”। রশ্মিকার সাথে এই ঘটনা লেগেই রয়েছে। কিছুদিন আগেও নিজের এয়ার পোর্ট লুকের পোশাক নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন রশ্মিকা।