মাত্র তিনমাস পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছিলেন মিয়া খলিফা (Mia Khalifa), কিন্তু সেই ভুলের মাশুল সারাটা জীবন দিয়েই যেতে হয়েছে মিয়াকে। আজও মানুষ তার পরিচয় দেওয়ার সময় ‘প্রাক্তন’ শব্দটা বসাতে ভুলে যান, হ্যাঁ তিনি প্রাক্তন পর্নস্টার। কিন্তু এখন তার এই পরিচয় সম্পূর্ণ অতীত৷ ১৯৯৩ সালে লিবিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন মিয়া, আর ২০০১ সাল থেকে আমেরিকার বাসিন্দা তিনি। মাত্র তিনমাসের জন্য পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলেও, আজও তার পরিচয় ওই পেশার জন্যেই৷ পর্নদুনিয়া ছাড়লেও আলোচনা, নোংরামি, বিতর্ক, মানুষের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পিছু ছাড়েনি তার।
পর্নদুনিয়ায় আসার কারণ হিসেবে মিয়া জানান, আত্মসম্মানবোধই তাকে এই দুনিয়ায় নামতে সাহস জুগিয়েছিল। আসলে ছোট বেলা থেকেই মিয়া তার ওজনের জন্য হাসির খোড়াক হতেন, মিয়া ভাবতেই পারেননি তিনি কখনোও কোনোও পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। তাই কলেজের পর যখন ওজন কমিয়ে তিনি খানিকটা তন্বী, সুশীলা হয়ে উঠলেন তখন প্রথমবারের জন্য তিনি প্রশংসা পেতে শুরু করলেন, আর এটাকে তিনি হারাতে চাননি।
কিন্তু মিয়া যেই ধারণা থেকে এই জগতে পা রেখেছিলেন, সেটা বাস্তবের সঙ্গে সম্পূর্ণ আলাদা। হিজাব পরে তার সেক্সুয়াল ভিডিও ভাইরাল হতেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মিয়া। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ওঠে নিন্দার ঝড়। এমনকি জঙ্গি সংগঠন আইসিস-এর কাছ থেকে খুনের হুমকিও পান তিনি। মিশর, আফগানিস্তানের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল মিয়াকে।
কিন্তু হঠাৎই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন মিয়া? ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়ার আগেই মিয়া খলিফাকে মৃত ঘোষণা করল ফেসবুক। আমরা সকলেই জানি, মৃত ব্যক্তিদের চলমান ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে রেখে দিয়ে ফেসবুক ‘remembering’ লিখে দেয়। এবার মিয়া খলিফার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সাথেও এমনটাই করল ফেসবুক। এদিকে জনপ্রিয় প্রাক্তন পর্ণ তারকার মৃত্যু নিয়ে কোনও খবরই জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। অনুরাগীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এমনকি মিয়ার পেজের আর কোনোও আপডেট ও চোখে পড়ছে না। এই ঘটনা নিয়ে যদিও ফেসবুকের তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি।