টলিউডের সুপারস্টার তথা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অভিনয়ের দৌলতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থেকে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অভিনেতা। বর্তমানে ছবিতে না দেখা গেলেও রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে দেখা মেলে তাঁর। পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু এলাহী হোটেল যেগুলো থেকেই মোটা টাকা উপার্জন করতেন তিনি। কিন্তু করোনা কাল থেকে দীর্ঘ লকডাউনে (lockdown) ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অভিনেতার।
সম্প্রতি নিজের আর্থিক দুর্দশা নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। আসলে অভিনেতার বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। বড়পর্দায় সেভাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে আর দেখা যায় না, বরং রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চেই বিচারক বা অতিথি হিসাবে আসেন তিনি। এছাড়া যায় বলতে হোটেলের ব্যবসায় হওয়া লাভ। কিন্তু লকডাউনে অভিনেতার পরিবারকে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কারণ হোটেল ব্যবসা পর্যটনের সাথে জড়িত আর লকডাউনে পর্যটন শিল্প একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাস অবস্থা একেবারে খারাপ করে রেখে দিয়েছে’। লকডাউনে রীতিমত এককাপ কফিও বিক্রি হয়নি। আর ট্যুরিজম থেকে অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিকে সরকার কোনোরকম সাহায্য করেনি। যার ফলে অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে।
অভিনেতা আরও জানান, তাঁর পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য তিনিই। সেই কারণে লকডাউনে কিভাবে সংসার চলবে সেই চিন্তাই সবার আগে মাথায় ঘুরছিলো তাঁর। তবে শুধুমাত্র পরিবারের চিন্তা করলেই তো আর হবে না, সাথে হোটেলের কর্মচারীদের জীবনের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। তাই নিজের হোটেলের যেটুকু লাভ হয়েছে সেটা নিজে না নিয়ে কর্মীদের মধ্যেই ভাগ করে নিতে বলেছিলেন তিনি।
অর্থাৎ করোনাভাইরাসের জেরে মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনেও আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন অভিনেতা। তবে বর্তমানে দিয়ে ধীরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে। এছাড়া নতুন আরম্ভ হওয়া রিয়্যালিটি শো ‘হুনরবাজ’ এ বিচারক হিসাবে দেখা যাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। সাথে থাকছেন করণ জোহার ও পরিণীতি চোপড়া। আর সঞ্চালকের ভূমিকায় আছেন জনপ্রিয় হাস্যকৌতুক অভিনেত্রী ভারতী সিং ও তার স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়া। তাই বর্তমানে আর্থিক অবস্থা কিছুটা স্বচ্ছল হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।