আল্লু অর্জুনের ছবি ‘পুষ্পা দ্য রাইজিং ষ্টার ‘ মুক্তি পেয়েছে গত ১৭ ই ডিসেম্বর। কিন্তু প্রায় এক মাস পরেই এই ছবির ক্রেজ এক্কেবারে অব্যাহত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বক্স অফিসে ৪০০ কোটির ব্যবসা করে ভারতের সর্বোচ্চ মুনাফাকারী সিনেমা হয়ে উঠেছে পুষ্পা। দেশজুড়ে ৫ টি ভাষায় অর্থাৎ তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড়ের পাশাপাশি হিন্দিতে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা বলিউড শুধু নয় সেইসাথে কড়া টক্কর দিয়েছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিকেও। এই চূড়ান্ত হিট সিনেমার প্রতিটি চরিত্রই বিপুল ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। রশ্মিকা মন্দনা , আল্লু অর্জুন , সামান্থা প্রভু ছাড়াও মাত্র কয়েক মিনিট সিনেমায় অভিনয় করে প্রবল প্রশংসিত হয়েছে আইপিএস ভানওয়ার সিং শেখাওয়াত চরিত্রটি।
ছবিতে একেবারে শেষে এন্ট্রি নিয়েছিলেন তিনি। সকলেই পুষ্পা পার্ট ২ তে আল্লু অর্জুনের সাথে আইপিএসের অ্যাকশন এর জন্য অপেক্ষা করছেন। আজ আপনাকে জনাব , বাস্তব জীবনে কেমন এই আইপিএস ভানওয়ার সিং শেখাওয়াত। এই অভিনেতার আসল নাম হল ফাওয়াদ ফাসিল। এই নামটি বলিউডে বেশ নতুন হলেও দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রির বেশ পরিচিত নাম। ফাওয়াদ একজন শক্তিশালী অভিনেতার পাশাপাশি একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি অনেক তামিল ও মালায়ালাম চলচ্চিত্র করেছেন।
ফাওয়াদ ফাসিল কেরালার আলাপুজা থেকে এসেছেন এবং তার জন্ম 1982 সালের 8ই আগস্ট, তিনি বিবাহিত এবং তার স্ত্রীর নাম নাজারিয়া নাজিম। নাজারিয়া একজন অভিনেত্রী এবং তামিল-মালায়ালম চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত। এছাড়াও, তার বাবার নাম আলেক্সা মুহাম্মদ ফাজিল (চলচ্চিত্র পরিচালক) এবং মায়ের নাম রোজিনা।
ফাহাদ ফাসিল আলাপুঝার এসডিভি সেন্ট্রাল স্কুল, লরেন্স স্কুল উটি এবং দ্য চয়েস স্কুলে (ত্রিপুনিথুরা) স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এছাড়াও, তিনি সনাতন ধর্ম কলেজ (আলেপ্পি) থেকে স্নাতক হন। সেখানে থাকাকালীন, তিনি আরও পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান, যেখানে তিনি মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এমএ করেন।
ফাওয়াদ ফাসিল তার বাবার পরিচালিত মালায়ালাম চলচ্চিত্র “কাইয়েথুম দুরথ (2002)” দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন, কিন্তু ছবিটি ফ্লপ হয়। প্রস্তুত না হওয়ার জন্য তিনি নিজেকেই দায়ী করেন। এরপর তিনি আরও পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় যান। যাইহোক, প্রায় ৬ বছর পর, তিনি মালায়ালাম চলচ্চিত্র কেরালা ক্যাফে (2009) দিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন। তথ্যমতে, প্রায় ৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন ফাওয়াদ।
এটা জেনে অবাক হবেন যে ইরফান খানের সাথে ফাহাদ ফাসিলের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। না কোনও রক্তের সম্পর্ক ছিল না তাদের , কিন্তু জানা যায় ফাওয়াদ তার প্রথম ছবি ফ্লপ হওয়ার পরে আরও পড়াশোনার জন্য আমেরিকা যান। কিন্তু, এরই মধ্যে, তার জীবনে এমন কিছু ঘটেছিল যে তিনি তার পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল ইরফান খানের ছবি। অভিনেতা ইরফান খানের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি তার অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, “আমি যখন আমেরিকায় পড়তাম, তখন সপ্তাহান্তে বন্ধুদের সাথে ভারতীয় সিনেমা দেখতাম। আমরা পাশের পাকিস্তানি মুদি দোকান থেকে সিনেমার ডিভিডি নিয়ে আসতাম। একদিন দোকানে মালিক ইরফান খানের সিনেমা ‘ইয়ুন হোতা তো কেয়া হোতা’ দেখতে বলেছিলেন, যেটি নাসিরুদ্দিন শাহ পরিচালিত হয়েছিল।”