একঘেয়ে জীবনে এক মুঠো আনন্দের অবকাশ নিয়ে আসে সিরিয়াল। তাই দিনে দিনে দর্শকমহলে বেড়েই চলেছে সিরিয়ালের চাহিদা। বর্তমানে দর্শকমহলে বিপুল জনপ্রিয় এমনই একটি সিরিয়াল হল ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ ( Amader Ei poth Jodi na sesh hoi)। জি বাংলার প্রথম সারির সিরিয়াল গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
তাই শুরু থেকেই এই সিরিয়াল কে কেন্দ্র করে দর্শকমহলে রয়েছে বিপুল চাহিদা। আর দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতি সপ্তাহে এই সিরিয়ালে আনা হচ্ছে নিত্যনতুন চমক। বছরের একেবারে শুরুতেই উর্মির মামনি আর ছোট কাকার ষড়যন্ত্রে মিথ্যা শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলে গিয়েছে নিপাট ভালো মানুষ সাত্যকি। কিন্তু সাত্যকি বাবুর সেই দুর্দিনে তার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় তার বৌ উর্মি।
ইতিমধ্যেই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে প্রথম বার উকিলের উর্দি গায়ে চাপিয়েই অভিজ্ঞ আইনজীবী মিস্টার বাসুর নাকের ডগা দিয়ে জামিন করিয়ে সাত্যকি বাবুকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল ঊর্মি। কিন্তু উর্মির মামনি আর ওই উকিল উর্মিকে আটকাতে, গুন্ডা দিয়ে তাকে কিডন্যাপ করায়। কিন্তু অতীতে পরিচিত নিষিদ্ধ পল্লীর বাসিন্দা এক দিদির সাথে দেখা হয় উর্মির। তার সাথেই কথায় কথায় বেরিয়ে পরে ভুয়ো নির্যাতিতা সেজে থাকা মোনা ওরফে মোনালিসার আসল পরিচয়।
কিন্তু বিচারক রায় দেওয়ার আগে নতুন সাক্ষী পেশের জন্য অতিরিক্ত একদিন সময় চেয়ে নেন বিরোধী উকিল। এরপর দেখা যায় মিস্টার বাসুর সেই সাক্ষী সেজে কাঠগড়ায় দাড়ায় রিনি। কিন্তু সকলের সামনে সে সাত্যকির পক্ষেই সাক্ষী দেয়। এতেই শেষমেশ জয় হয় উর্মি-সাত্যকির।
এরপর বিচারক সাত্যকিকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ডুয়ো নির্যাতিতা মোনাকে শাস্তি দেন। বিচারক শুনানিতে জানান মিথ্যা মামলা সাজানোর অভিযোগে মোনালিসা রায়কে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেন। সে সময় মোনা বলে ওঠে ‘আমি ইচ্ছা করে করিনি, আমাকে দিয়ে করানো হয়েছে।’ একথা কানে যেতেই খটকা লাগে উর্মির সঙ্গে তার পিছু ধাওয়া করে থানায় যেতে বেরিয়ে পড়ে উর্মি।