দেখতে দেখতে দুবছর হতে চলল সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) আমাদের মধ্যে নেই। ২০২০ সালের ১৪ই জুন লক্ষ লক্ষ ভক্তদের অবাক করে দিয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন বিখ্যাত এই অভিনেতা। তার মৃত্যু প্রথমে মেনে নিতে পারেননি কেউই। এমনকি আজও অনেকেই বিশ্বাস করেন না যে সুশান্ত আর বেঁচে নেই! নিজের দুর্দান্ত অভিনয় আর সিনেমার মধ্যে দিয়েই আজ সকলের মনে জীবিত সুশান্ত। আজ সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্মবার্ষিকী।
আজকের দিনে ১৯৮৬ সালে পাটনাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। আজ বেঁচে থাকলে ৩৬ তম জন্মদিন হত অভিনেতার, কিন্তু সেটা আর হল কই! তাঁর আগেই সবাইকে মা-বাবা, চার দিদি আর অসংখ্য ভক্তদের ছেড়ে তারাদের দেশে চলে গিয়েছেন সুশান্ত। আজ সুশান্তের জন্মবার্ষিকীতে তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরব আপনাদের কাছে।
সুশান্তের মা উষা সিং রাজপুত ও বাবা কে কে সিং রাজপুত আজ সকলের কাছেই চেনা। এমনকি সুশান্তের দিদিরাও আজ তাঁর কারণেই অনেকের কাছে পরিচিত। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে অনেক মানত করে মা-বাবা পেয়েছিলেন সুশান্তকে। সুশান্ত তাঁর পরিবারে সবচাইতে ছোট, চার দিদির পর ছোট্ট ভাই হিসাবে এসেছিলেন তিনি। সেই কারণে সকলের কাছেই খুব প্রিয় ছিলেন।
অভিনেতার মা চার বার কন্যা সন্তান হবার পর ছেলের মুখ দেখার জন্য খুবই ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলেন। পুত্র সন্তানের জন্য বহু মন্দিরে ঘুরে মানত করে প্রার্থনা করেছিলেন মা উষা সিং রাজপুত। এরপর সুশান্ত হয়ে মায়ের চোখের মণি ছিলেন সুশান্ত। আদর করে বাড়ির সবাই তাকে ‘গুলশন’ নামে ডাকত।
কিন্তু যে মা এতো প্রার্থনা, মানত করে পৃথিবীতে আনল সুশান্তকে তাঁর ভালোবাসা বেশি দিন পাননি অভিনেতা। সুশান্তের বয়স যখন মাত্র ১৬ বছর তখনই প্রয়াত হয় অভিনেতার মা। মাকে ভীষণ ভালোবাসতেন সুশান্ত, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ঘুরে দেখলেই সেটা বোঝা যায়। বহুবার মাকে নিয়ে আবেঘন ছবি শহরে করে বার্তা দিতেন সুশান্ত। এমনকি মারা যাবার দিন দশেক আগেও মায়ের ছবি শেয়ার করে আবেগঘন হয়েছিলেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত শুধুই যে ভালো বলিউডের অভিনেতা তা কিন্তু একেবারেই না। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়শোনা থেকে খেলাধুলাতেও দারুণ ভালো ছিলেন সুশান্ত। ‘কাই প ছে’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন সুশান্ত। প্রথম ছবিতে সেভাবে নাম না করলেও এরপর একে একে দর্শকদের নজর কেড়ে নেন। এম এস ধোনি, কেদারনাথ, দিল বেচারা এই সমস্ত ছবি আজও সকলের মনে রয়ে গিয়েছে।