সোশ্যাল মিডিয়ার (social media) দৌলতে কত কিছুই চোখে পরে রোজ, জিনিস চোখ আটকে দেবার মত। সম্প্রতি ছত্রিশগড়ের এক প্রত্যন্ত এক গ্রামে জন্ম নিয়েছে তিন চোখ বিশিষ্ঠ এক বাছুর (three eyed calf)। যা পাড়া প্রতিবেশী তো বটেই নেটিজেনদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিরল এই বাছুরটিকে স্বয়ং ভগবানের রূপ বলেই মনে করছেন অনেকে। এমনকি তাকে পুজো করাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
যেমনটা জানা যাচ্ছে বিগত ১৩ই জানুয়ারি ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁওয়ের একটি গ্রামের বাসিন্দা তথা কৃষক হেমন্ত চান্ডেলের এক গাভী এই বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। বাছুরটির জন্মের পরেই তিনি লক্ষ্য করেন বাছুরের কপালে চোখের মত কিছু একটা রয়েছে।
বাছুরের মালিক জানান, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ভেবেছিলাম কোনো আঘাতের চিহ্ন হয়তো। কিন্তু পরে দকেহা যায় বাছুরের কপালের মাঝখানে একটি অতিরিক্ত চোখ এবং নাকের ছিদ্রে চারটি ছিদ্র রয়েছে। এর লেজ দেখতে বেশ খানিকটা বিনুনি করে বাধা চুলের মত দলা পাকানো। এমনকি বাছুরটির জিভও স্বাভাবিকের থেকে বেশি লম্বা, যে কারণে দুধ খেতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে’।
জন্মদাত্রী গভীর মালিকের মতে তার এইচএফ জার্সি জাতের গাভীটি এর আগেও তিনটি সন্তান প্রসব করেছে। তবে সেগুলো একেবারেই স্বাভাবিক। তবে এই বিশেষ বৈশিষ্ঠ নিয়ে জন্মানো গরুটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অনেকেই ভগবান শিবের অবতার মনে করে নারকেল, ফুল মালা নিয়ে পুজো দিতে আসছেন বাছুরটিকে। এমনকি অনেকে মানত করে টাকা পয়সাও দিয়ে যাচ্ছেন।
Chhattisgarh| Three-eyed cow born in Rajnandgaon district worshipped as reincarnation of god Shiva
"We were surprised. Its nose has four holes instead of two & has 3 eyes. Medical screening has been done. She is healthy. Villagers are worshipping the calf," said Neeraj (16.01) pic.twitter.com/NrG2b8LNXt
— ANI (@ANI) January 17, 2022
গ্রামবাসীদের মতে, ভগবান শিবের ত্রিনয়ন রয়েছে ইটা সকলেরই জানা। তাছাড়া জীবনে এর আগে কোনোদিন তিন চোখের গরু দেখিনি। তাই ভগবান যে গরুর রূপ নিয়ে আমাদের গ্রামে এসেছে তাতেই আমরা ধন্য। যদিও স্থানীয় পশু চিকিৎসকের মতে এটা কোনো চমৎকার বা মিরাকেল জাতীয় কিছুই নয়। জন্মদাত্রী গভীর শরীরে হরমোন জনিত সমস্যারকারণে এই ধরণের বাছুর হয়েছে।
চিকিৎসক আরও জানান, হরমোনের সমস্যার কারণে ভ্রূণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটেছে। যার গোলেই এমন ধরণের সদ্যজাত জন্মেছে, এমন ঘটনা আগেও দেখগে গিয়েছে তবে হয়তো তিন চোখ বিশিষ্ট এই প্রথম। এই ধরণের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আয়ুও অনেক কম হয়। কেউ এক দু সপ্তাহের মাথাতেই মারা যায় তো কেউ আবার এক কিংবা দুবছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।