মায়ের ভালোবাসার বিকল্প আর কিছুতেই মেলেনা। সে মানুষ হোক বা জীবজন্তু। সন্তানের জন্য মায়ের যে টান তার চেয়ে শক্তিশালী বোধহয় আর কিছুই নেই। কথায় বলে সন্তানের জন্য মায়েরা পারেনা এমন কাজ পৃথিবীতে নেই। এবার এই প্রবাদ কার্যত বাস্তব উদাহরণ হয়ে রইল ভারতের এক গ্রামে৷ মধ্যপ্রদেশের বাড়িঝিরিয়া নামক এই প্রত্যন্ত গ্রামের ঘটনা। যা শুনলে মনে হবে, যেন কোনোও সিনেমায় ভিএফএক্সের মাধ্যমে তৈরি কোনোও অ্যাকশন দৃশ্য। কিন্তু না কোনোও সিনেমা নয় বাস্তবে ঘটেছে এক হাড় হিম করা ঘটনা।
সিধি জেলার সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের পাশে অবস্থিত এই গ্রামেরই বাসিন্দা কিরণ। তার তিন সন্তান। জানা যাচ্ছে, গত রবিবার রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন কিরণ। তার তিন সন্তান খেলছিল বাড়ির কাছেই। হঠাৎই সন্ধ্যা নাগাদ তার অলক্ষে তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কিরণের ৮ বছরের শিশুকে ঘাড়ে কামড় দিয়ে তুলে নিয়ে যায় একটি চিতাবাঘ।
তৎক্ষনাৎ বিষয়টি টের পান কিরণ। চিতা বাঘের সাথে পাল্লা দিয়ে লাগান দৌড়। প্রায় ১ কিলোমিটার ওই চিতাকে তাড়া করে পিছু নেন মহিলা। ততক্ষণে বাঘ বাবাজি নিজের শিকার নিয়ে লুকিয়ে পড়েছে জঙ্গলের ভিতর। সেই জঙ্গলে ঢুকে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসের সাথে ভয় দেখাতে থাকেন কিরণ দেবী।
এর জেরে কিরণ দেবীকে পালটা আক্রমণ করে ওই চিতাবাঘ। তখনই নিজের হাতের লাঠি দিয়ে বাঘকে ঘায়েল করেন মহিলা। এরপর বাচ্চাকে ফেলে রেখে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘ বাবাজি৷ আহত ছেলেকে উদ্ধার করে ফেরেন কিরণ দেবী। তার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়াবাসী৷ এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে তার ছেলের মুখে কামড়ে দিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘটি । সন্তানের জন্য মা যে সবকিছুই করতে পারে তার হাতে গরম প্রমাণ মিলল এই ঘটনায়৷