জি বাংলার প্রথম সারির সিরিয়াল গুলোর মধ্যে অন্যতম হল ‘এই পথ যদি না শেষ হয়'(Ei poth Jodi na sesh hoi)। এই সিরিয়ালে উর্মি (Urmi)- সাত্যকির (Satyaki) জুটি বেশ জনপ্রিয় দর্শকমহলে। নতুন বছরের শুরুতেই বড় চমক এসেছে এই সিরিয়ালে। সরকার বাড়ির নিপাট ভালো মানুষ ছেলে সাত্যকি মিথ্যা শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলে যাওয়ায় মন খারাপ হয়ে যায় দর্শকদের।
কিন্তু শেষমেশ সাত্যকির বৌদ্ধ উর্মির বুদ্ধির কাছে হার মানে শহরের দুঁদে উকিলও। সাত্যকি বাবুর জন্য প্রথম বার উকিলের উর্দি সেজে অভিজ্ঞ আইনজীবীর নাকের ডগা দিয়ে জামিন করিয়ে সাত্যকি বাবুকে বাড়ি নিয়ে যায় ঊর্মি। কিন্তু মান সম্মান ব্যাবসা সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছে সাত্যকি। সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না হঠাৎ মেয়েটা কেন এমন জঘন্য ঘটনা ঘটালো।
সাত্যকি বাবুর কথা শুনে নড়েচড়ে বসে উর্মিও। সাত্যকি বাবুকে নির্দোষ প্রমাণ করতে মরিয়া ওঠে এসে। সেই কারণেই প্রমাণ জোগাড় করতে নেমে পড়ে সে। এখন স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগটাকে ভুয়ো প্রমাণ করার অপেক্ষা। তাকে নির্দোষ প্রমাণ করে সব বদনাম ঘোচাতে না পারা অবধি শান্তি নেই উর্মির।
ইতিমধ্যেই সিরিয়ালে দেখা গেছে উর্মির কাকা আর মামনির টাকা দিয়ে ভাড়া করা এক মহিলার ডুয়ো শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফেঁসে গিয়েছে সাত্যকি। কিন্তু আদালতে তার পাশে দাঁড়ায় উর্মি। এমনকি মামনি আর কাকার থেকে ঘুষ নিয়ে সব উকিল যখন সাত্যকির হয়ে কেস লড়তে পারবে বলে জানায় তখনও হার মানেনি উর্মি।
নিজের আইন পাশের কম নম্বর টুকুই সম্বল করে কেস লড়তে যায় সে। ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রমাণ জোগাড় করে উকিলবাবুর সাজানো সাক্ষীদের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে উর্মি। ইতিমধ্যেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পর্বের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে কমেন্ট বক্সে উর্মির প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা।