সবেমাত্র মা হারানোর দুঃখটা একটু ভুলতে শুরু করেছে মিঠাই (Mithai)। হাসি খুশি এমন একটা প্রাণোচ্ছল মেয়ে মা হারা হতেই একেবারে চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। কারোর সাথে কথা নেই, এমনকি যে মিষ্টির দোকান প্রাণ ছিল মিঠাইয়ের সেখানেও যেতে চাইছিলো না সে। এরপর সিদ্ধার্থ নিজে গান গেয়ে বাড়ির সকলের সাথে প্ল্যান করে আবারও হেপ্পি করে তুলেছে মিঠাইকে। কিন্তু এবার মোদক পরিবারে নতুন অশান্তির সৃষ্টি করল তোর্সা।
এমনিতেই সিদ্ধার্থের বস হবার চক্করে মিঠাইয়ের মা মারা গেছে জেনেও অফিসের পোগ্রামেই ছিল তোর্সা। আর এখন বস হয়ে অফিসে সিদ্ধার্থকে নিজের কেবিন ছাড়া করিয়েছে সে। অন্যদিকে কটা টাকার জন্য সোমের নামে হওয়া সিদ্ধেশ্বর গ্রূপের মিষ্টির দোকানের সাথে গোটা গ্রূপের বদনাম করছে সে। লাভ করতে বাসি মিষ্টি বিক্রির সিদ্ধান্তে অনড় সোম-তোর্সা। এবার সেই নিয়েই ভাঙ্গন ধরতে পারে পরিবারে!
সিদ্ধেশ্বর গ্রূপের দোকান থেকে বাসি মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে, এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক নিন্দা শুরু হয়েছে। যেটা বাড়ির সকলের নজরে এসেছে। আর সেটা জানতে পেরেই সিদ্ধার্থর বাবা রেগে আগুন! তিনটে দোকানের জন্য গোটা পরিবারের ব্যবসার ক্ষতি হবে এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তৎক্ষণাৎ সোমকে এই নিয়ে শুনিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সিদ্ধার্থর বাবা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এভাবেই যদি ব্যবসা চালাতে হয় তাহলে দোকান আলাদা তো হয়ে গিয়েছে। এবার দোকানের নাম বদলে ফেলতে হবে। সাথে মিষ্টি রান্নার বেস কিচেনটাও আলাদা করেই তৈরী করে নিতে হবে তাকে। সেই সময় সোম চুপ থাকলেও তোর্সা মুখ খুলেছে। তাঁর মতে, ঠিক আছে তাহলে তাই হবে। নিজের মাকে ডেকে পেপার্স রেডি করতে পর্যন্ত রেডি তোর্সা।
এই কথা শুনে মিঠাই মনে মনে আবারও কষ্ট পেয়েছে। দোকান নিয়ে এভাবে ভাগাভাগি বা দোকানের বদনাম কোনোটাই চাইনি সে। তাছাড়া দাদাই এই সমস্ত কিছু জানতে পারলে খুব কষ্ট পাবে তাই নিয়েই চিন্তিত মিঠাই। এখন আগে কি হয়, আদৌ দোকান ভাগ হয়ে যায় কি না সেটা সিরিয়ালে ক্রমশ প্রকাশ পাবে।