জি বাংলার প্রথম সারির সিরিয়াল গুলির মধ্যে অন্যতম হল এই পথ যদি না শেষ হয় (Ei Poth Jodi Na Sesh Na Hoi)। সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে এই সিরিয়ালের প্রতি রয়েছে এক আলাদা রকমের ভালো লাগা। বড়লোক বাড়ির মেয়ে উর্মি আর মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সাত্যকির মিষ্টি প্রেমের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সিরিয়াল। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই একেবারে ওলটপালট হয়ে গিয়েছে উর্মি (Urmi) সাত্যকির (Satyaki) জীবন।
সবেমাত্র উর্মি সাত্যকির বিয়ের ৫ মাস পুরেছে।সেই আনন্দের দিন সেলিব্রেট করার আগেই সরকার বাড়ি এসে হাজির হয় পুলিশ। বাড়ির আদর্শবান ছেলে সাত্যকির বিরুদ্ধে ওঠে শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ। এক মহিলার কাছ থেকে থানায় সেই অভিযোগ পেয়ে সাত্যকিকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। বিনা দোষে এর আগে গণপিটুনিও খেয়েছে সে।
কিন্তু আসলে যে সবটাই উর্মির মামনি আর ছোটো কাকার কারসাজি সে কথা এখনও কেউ জানে না। ইতিমধ্যেই সিরিয়ালে দেখা গেছে উর্মির চোখে সাত্যকিকে ছোটো করতে তার নামে শ্লীলতাহানির মতো জঘন্য অভিযোগ এনে ষড়যন্ত্র করে উর্মির মামনি। তারাই টাকা দিয়ে এক মহিলাকে ভাড়া করে। সেই মহিলাই ভুয়ো নির্যাতিতা সেজে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় সাত্যকিকে।
আর তারপর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এবং প্রথম দিকে স্ত্রী উর্মিকে পাশে না পেয়ে একপ্রকার ট্রমার মধ্যে চলে যায় সাত্যকি। ইতিমধ্যেই সিরিয়ালে দেখা গেছে পুলিশের কাছে সাত্যকির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ শুনে উর্মিও তাকে অবিশ্বাস করতে শুরু করে। সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না তার সাত্যকিবাবু তাকে সেদিন মিথ্যে কেন বলল। তাই রাগি আন্টি সহ বাড়ির কারো কথার তোয়াক্কা না করে সাত্যকি বাবুকে থানায় একা রেখেই দাদুর কাছে চলে যায় উর্মি।
এসব দেখে উর্মির মামনি একপ্রকার ভেবেই নেয় তাদের প্লান সাকসেসফুল হয়েছে। তাই সাত্যকিকে আদালতে তোলা হলে সেখানে উর্মিও গিয়ে হাজির হয়। সেখানে গিয়ে সে দেখে তার সাত্যকি বাবুর বিরুদ্ধে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে একের পর এক জঘন্য অভিযোগ করে চলেছে ওই ডুয়ো নির্যাতিতা মহিলা।