কত মানুষের কত রকম ইচ্ছে থাকে, হয়ত সেই ইচ্ছেপূরণের তাগিদেই জীবন থেকে আর কিচ্ছু পাওয়ার নেই জেনেও আরও কিছু দিন বাঁচার স্বপ্ন দেখেন এই মানুষ গুলো। বীরভূমের গড়গড়ি গ্রামের বাসীন্দা সোনামণি রুজেরও একটিই স্বপ্ন, একটি বারের জন্য তিনি সামনে থেকে দেখতে চান, স্পর্শ করে দেখতে চান তার ‘মনের মানুষ’টাকে। বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সোনামণির সেই মানুষটা আর কেউ নন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি (Prosenojit Chatterjee)।
লাল মাটির মানুষ বীরভূমের ছেলে শিলাজিৎ এর গ্রামতুতো বোন হন সোনামণি। দাদার তো টলিউডে যাতায়াত আছে, জানা চেনাও আছে তাই দাদা শিলাজিতের কাছে বহু দিন ধরেই বায়না করছেন সোনামণি, এক বার যদি কোনও ভাবে বুম্বাদাকে তাঁর সামনে এনে দিতে পারেন। তিনি একটু ছুঁয়ে দেখবেন!
কিন্তু অভিনেতা তথা গায়ক বহুবার বোনকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন স্বয়ং টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’কে ছোঁয়া হাতের মোয়া নয়। তাঁকে ওভাবে ধরা ছোঁওয়া যায়না৷ কিন্তু সোনামণি মানতেই চাননা কিছুতেই। বুম্বা দা বলতে সে পাগল। যতবার শিলাজিৎ গ্রামে গিয়েছেন ততবার সোনামণি এই আবদারই করে গিয়েছে। শিলার কোনোও বোঝানোতেই কাজ হয়নি।
অবশেষে ‘নায়ক’ এর উদ্দেশ্যে এই বিশেষ ভক্তকে নিয়ে একটি ভিডিও বানালেন শিলাজিৎ। সোনামণিকে নিজের মুখেই আবদার করতে বললেন ঝিন্টির শ্রষ্টা। আর ওমনি সোনামণি বললেন, “বুম্বা দা তুমি গড়গড়ি আসবে। সময় নিয়ে আসবে। তোমায় প্রণাম করব।” শিলাজিৎ যদি জিজ্ঞেস করে আমি দাদা না বুম্বা দা দাদা, সোনার সাফ উত্তর বুম্বা দা। জড়ানো কথায় তার একটাই দাবি, বুম্বা দা গড়গড়ি এসো।
শিলাজিৎ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘কথায় জড়তা। শারীরিক সমস্যা রয়েছে। জানি না ওর ভবিষ্যৎ কী! ওর একটাই ইচ্ছে বুম্বা দাকে দেখবে। দাদাকে চোখে হারায়। তাই মনে হল, ওর এই আবদারটুকু পূরণের চেষ্টা করা যেতেই পারে।’’ সোনামণির ওমন মিষ্টি আবদারে সত্যি সত্যিই মন গলেছে নায়কের। ভিডিও বার্তায় তাই উত্তরও পাঠিয়েছেন তিনি। কথা দিয়েছেন অতিমারী কমলেই তিনি স্বশরীরে সোনামণির গ্রামে যাবেন। তার আগে সপ্তাহের প্রথমেই সোনামণিকে ভিডিও কলে দেখা দেবেন নায়ক।