আর সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের মতো মোটেই ওমন গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ নন মদন মিত্র (Madan mitra)। বয়স বাড়লেও তার মনের রঙ এখনও ঝলমলে। বাংলার ক্রাশ তিনি। কোনোরকম রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়াও তিনি লাইভে এলে অনুরাগীরা ভীড় জমান সেখানে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সক্রিয় মদন মিত্রের জনপ্রিয়তা হার মানাবে যে কোনো তারকাকেও। আর তাকে ঘিরে প্রায়শই দেখা যায় টলি পাড়ার ‘লাভলি’ নায়িকাদের। সকলেই তার স্নেহধন্যা।
কখনো তিনি গলা ছেড়ে গান গান, তো কখনও তিনি টলি সুন্দরীদের সঙ্গে মাতেন দোল উৎসবে, কখনও ফুল নিয়ে পৌঁছে যান টেলি নায়িকাকে শুভেচ্ছা জানাতে। ধরাবাঁধা রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে তাকে এক করে ফেলা যায়না৷ কখনও দক্ষিণশ্বরের কালীপুজোয় ‘ড্রামা ক্যুইন’ রাখী সাওয়ান্তের সাথে মঞ্চ মাতাচ্ছেন, আবার কখনও নুসরত জাহানের সাথে অকপটে বলছেন ভালবাসার গল্প। সব মিলিয়ে বরাবরই আদ্যোপান্ত একজন কালারফুল মানুষ কামারহাটির এই তৃণমূল বিধায়ক।
মদন মিত্র তাকে শর্ট ফর্মে MM ও বলা যায়। এবার তিনি নামতে চলেছেন অভিনয়ে। করোনা আতঙ্কে যখন কাঁপছে বাংলা তখন এক্কেবারে খোস মেজাজে অভিনেতা মদন। ডাবিং-এ গড়গড়িয়ে বলছেন একের পর এক সংলাপ। দৃঢ় কন্ঠে বলছেন, ভালো চরিত্র পেলে তিনি পর্দা মাতিয়ে দেবেন। উত্তম কুমার ছাড়া সকলকেই অভিনয়ে রিপ্লেস করার ক্ষমতা রাখেন তিনি।
খুব শিগগিরই বাংলা রাজনীতির এই বৈচিত্র্যময় চরিত্রকে নিয়ে তৈরি হতে চলেছে বায়োপিক। জানা যাচ্ছে, হচপচ’ নামে ঘণ্টা দেড়েকের সিনেমায় স্বনামেই অভিনয় করবেন মদন। আর তার ডাবিং-এই তিনি লেকগার্ডেন্সের এক স্টুডিওতে ব্যস্ত ছিলেন। প্রথম বার অভিনয়ে অভিষেক হবে তার, এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তার একটাই কথা “ওহ লাভলি”। সব ঠিক থাকলে আগামী মে-তেই মুক্তি পাবে ছবি।