এই পৃথিবী বড়ই বৈচিত্র্যময়। নানা ভাষা, নানা মত, নানা মতের মতো নানান পেশার মানুষও রয়েছেন এই পৃথিবীর বুকে। যা কিছু সাধারণ তা নিয়ে আমরা ভাবিনা, কিন্তু অদ্ভুত কোনোও কিছু হলেই তা নিয়ে খবর হয়, শিরোনাম কাড়ে। এখন অনলাইনের (Online) যুগ। কি না সম্ভব হচ্ছে এখন এই ভার্চুয়াল জগতে। আজ আপনাদের যেই পেশার কথা বলব তা শুনে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাদের হাসি পেতে পারে, কিন্তু এর পরিণতি শুনলে আপনি চমকে উঠতে বাধ্য।
তরুণীর নাম স্টেফানি মাট্টো। তার পেশা ছিল বোতলে করে নিজের বাতকর্ম (Fart) বিক্রয় করতেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই কাজ করে সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ টাকাও কামাতেন মাট্টো। বিদেশি মুদ্রায় প্রায় সাপ্তাহিক ৩৮ হাজার ডলার পর্যন্ত রোজগার করেছেন স্টেফানি। কি হাসি পাচ্ছে তো? ভাবছেন এ আবার হয় নাকি?
আজ্ঞে মশাই হয় হয়, আর তার পরিণতিও হয় ভয়ঙ্কর। যার জেরে এই বিচিত্র পেশা ছাড়তে হয়েছে বছর ৩১ এর স্টেফানি মাট্টোকে। ব্যাপারটা খোলসা করেই বলি তবে, এই মহিলা কানেক্টিকাটের বাসিন্দা। বোতলে বোতলে ‘হাওয়া কা ঝঁওকা’ জমিয়ে তা চড়া দামে বিক্রি করতেন তিনি। বোতল পিছু তার বাতকর্মের দাম প্রায় ১ ডলার। তবুও খদ্দেরের অভাব কখনোই হয়নি স্টেফানির।
ক্রমেই তার বাতকর্মের চাহিদা বাড়তে থাকে৷ সপ্তাহে প্রায় ৫০ টি বোতল পর্যন্তও বিক্রি করেছেন মাট্টো। কিন্তু এই বাতকর্ম জোগান দিতে গিয়ে মাট্টোর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে, সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। একদিন নিজের পেশা বহাল রাখতে, তিনটি প্রোটিন শেক ও এক অতিকায় বাটি ব্ল্যাক বিন স্যুপ খেয়ে ফেলেন তিনি আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি।
মহিলা বুঝতে পারছিলেন তার যকৃতে খুব চাপ তৈরি হচ্ছে, যেন এখুনি তার শেষ নিঃশ্বাস টুকুও বেরিয়ে যাবে৷ স্টেফানির কথায়, ”নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। যতবারই শ্বাস নিতে যাই, বুকের মধ্যে অদ্ভুত চিনচিনে অনুভূতি।” শেষমেশ অবস্থা গুরুতর হতেই হাসপাতালে ছোটেন তিনি। তবে ভয়ে ডাক্তারকে নিজের পেশা সম্পর্কে কিছুই বলার সাহস পাননি তিনি।
যাইহোক শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় খুব শিক্ষা হয়ে মাট্টোরও। তিনি ইতিমধ্যেই বদলে ফেলেছেন তার ডায়েট। ডাক্তারের থেকে তিনি জানতে পেরেছেন কোনোও স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক নয় গ্যাসের যন্ত্রণাতেই কাতড়াচ্ছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর নিজের পেশাও বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, আপাতত ডিজিটাল আর্ট ফর্ম বিক্রি করার দিকেই মন দিয়েছেন মাট্টো৷