গোটা পৃথিবীকে প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজের মুঠোবন্দী করে ফেলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত গুগল ও অ্যালফাবেট সংস্থার CEO সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai)। আজ তিনি সাফল্যের চূড়ায় বসেও মাটি থেকে পা কখনও সরতে দেননি। Google এর অধিকর্তা তিনি, তার পক্ষে অসাধ্য ও যে সাধন করা সম্ভব তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু তিনি ভুলে যাননি এই জায়গাটায় পৌঁছানোর পথ মোটেও সহজ ছিল না। আজ Bong trend এর দেওয়ালে জানাব, সুন্দর পিচাইয়েরই সংগ্রামের কাহিনি।
কথায় বলে প্রতিভা কখনও দমিয়ে রাখা যায়না। কঠোর পরিশ্রম সেই প্রতিভাকে সাফল্যে পরিণত করে। এই ঘটনার জলজ্যন্ত উদাহরণ সুন্দর৷ মেধা তো ছিল ভরপুর কিন্তু বাবার পয়সা ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে সুন্দর জানিয়েছিলেন, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্যে ভারত থেকে আমেরিকা আসার সময়ে সারা বছরের রোজগার দিয়ে সুন্দরকে প্লেনের টিকিট কেটে দিয়েছিলেন তার বাবা। জানলে অবাক হবেন, ওই প্রথম প্লেনে চড়েন সুন্দর।
প্রায় ১৩ বছর বয়সে প্রথমবার ফোন দেখেছিলেন তিনি। বাড়ির ল্যান্ডফোনই ছিল সম্বল। কিন্তু একবার কোনোও নম্বর শুনলে ঠোঁটস্থ হয়ে যেত সুন্দরের। আমেরিকা যাওয়ার পরেও বেশ কষ্ট করেই দিন গুজরান করেছেন মধ্যবিত্ত বাড়ির সুন্দর। ওই সাক্ষাৎকারেই তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমেরিকা খুব ব্যয়বহুল ছিল। বাড়িতে ফোন করতে হলে মিনিটে ২ ডলার খরচ হয়ে যেত। একটা ব্যাকপাক কিনতে যা খরচ পড়ত তা ভারতে আমার বাবার এক মাসের বেতন ছিল।’
সেই কঠিন পরিস্থিতিতেও দাঁতে দাঁত চেপে টিকে থেকেছেন সুন্দর৷ ছোটবেলা থেকে, ফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটার নেড়েঘেঁটে দেখার সুযোগ পাননি তিনি। প্রথমে খড়গপুর আইআইটি, তারপর আমেরিকার আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে। সিলিকন ভ্যালিতে একটি অর্ধপরিবাহী নির্মাতা সংস্থায় কাজে যুক্ত হন সুন্দর।
মেটিরিয়াল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করার পর ২০০৪ সালে সুন্দর গুগলে যোগ দেন ম্যানেজমেন্ট এগজিকিউটিভ হিসেবে। ২০১৫ সালে সংস্থার প্রডাক্ট চিফ এবং সিইও হন তিনি। সেই সঙ্গে গুগুলের Alphabet system এর দায়িত্বও সামলান ভারতের এই আশ্চর্য ছেলে। এত টাকার মালিক হয়েও সাধারণ জীবন যাপন করেন তিনি।