সত্যিই ভাগ্যের কি পরিহাস! কেউ অতিরিক্ত ঐশ্বর্য আর না চাইতেই সব কিছু পেয়ে যায়, আর কেউ সামান্য জিনিসগুলো পাবার জন্যও কষ্ট পায়। আমরা বা আপনারা সন্তানদের ছোটবেলায় পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে। কিন্তু এই স্কুলে যাওয়ার বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে এক ছোট্ট ছেলেকে। শৈশবের দিনগুলো কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে কাটছে ছোট্ট আরফের।
ছোট্ট আরফের বাবা একপ্রকার মানসিক ভারসাম্যহীন, যে কারণে কোনো কাজ করতে পারেন না তিনি। বাড়িতে মা আছেন তবে তিনি বাবাকে দেখাশোনা করেন। আর সম্বল বলতে রয়েছে নিজেদের গরু। মা বাবার দেখাশোনার পাশাপাশি গরুর দুধ বিক্রি করেন। কিন্তু তাতে সংসার চালানো আর বাবার ওষুধের খরচ চালানো সম্ভব নয়। তাই শেষমেশ সংসারের হাল ধরতে পথে নেমেছে আরাফ।
সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেবার আগে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ছিল আরফ, কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও আর পড়াশোনা চালানো গেল না। বর্তমানে রাস্তায় ঘুরে শাক বিক্রি করছে সে। ঘুরে ঘুরে সারাদিন শাক বিক্রি করে রাত্রে বাড়ি ফেরা। মাঝে মধ্যে দুপুরের খাবারটাও জোটে না। তবে এতো দুঃখের মধ্যেও মুখের হাসিটা ম্লান হয়নি। এতো প্রতিকূলতার মাঝেও মুখে হাসি রয়েছে আরফের।
বাবা মা ছাড়াও এক দিদি রয়েছে তাঁর। কিন্তু দিদির যাঁর সাথে বিয়ে হয়েছে সে আবার কথা বলতে পারে না। বলতো গেলে প্রতিবন্ধকতায় ঘিরে রয়েছে ছোট্ট আরফ, তবুও হাসি মুখেই এগিয়ে চলেছে সে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাটনির মাঝেও আরেফের সাথে রয়েছে একরাশ স্বপ্ন। একদিন কিছু টাকা জমিয়ে ভাঙা চোরা বাড়ি সরিয়ে পাকা বাড়িতে মা-বাবাকে নিয়ে থাকবে সে।
সম্প্রতি ছোট্ট আরফের এই কাহিনী ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ভিডিওতে নিজের মুখেই জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতার কথা জানিয়েছে সে। যেমনটা জানা যাচ্ছে বাংলাদেশের আমদই ইউনিয়ানের বাসিন্দা আরফ। তাঁর দুখের কাহিনী শেয়ার হবার পর লক্ষাধিক মানুষ দেখেছেন। আর ভিডিও দেখে অনেকেই স্যালুট জানিয়েছেন ছোট্ট আরফকে জীবনযুদ্ধে এভাবে এগিয়ে চলার জন্য।