মিঠাই (Mithai) মানেই পরতে পরতে নতুন চমক। বছর শেষের রাতেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। কোর্ট প্যান্ট করে মনোহরার সাহেব ছেলে সিদ্ধার্থের (Siddharth) নকল করে ইতিমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে মিঠাই রানি। যা দেখে উচ্ছেবাবুর বন্ধুরা সকলেই মিষ্টি মিঠাইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সকলেরই খুব পছন্দ হয়েছে সিদ্ধার্থের বৌকে।এক কথায় মিঠাই ম্যাজিকে মুগ্ধ সকলে।
যদিও পার্টির শুরুতে বিজনেস স্কুলের সিড থেকে বিবাহিত সিডের ভোলবদল দেখে একটু অবাকই হয়েছিল স্যাটিসহ দাদুর নাতির অনান্য বন্ধুরা। যা দেখে তাড়িয়ে তাড়িয়ে মজা লুট ছিল মিঠাইয়ের বড় জা তোর্সা (Torsha)। কিন্তু মিঠাইয়ের গোপাল থাকতে মিঠাইকৈ চাপে ফেলা কি অতই সহজ। তাই তো স্বভাব সুলভ নিজস্ব স্টাইলে উচ্ছেবাবুর বন্ধুদেরও মন জয় করে নেয় মিঠাই।
একেবারে সিদ্ধার্থ মোদকের স্টাইলে প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে, ‘ননসেন্স’ বলে মিঠাই যেভাবে উচ্ছেবাবুকে নকল করেছে তা দেখে একেবারে মিঠাইয়ের ফ্যান হয়ে গিয়েছে স্যাটি (Satty)। আর তাই মিঠাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর সিদ্ধার্থের বন্ধু দের কাছে স্পষ্ট বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস না রাখা সিড, ঠিক কি কারণে মিঠাইকে নিজের স্ত্রী হিসাবে মেনে নিয়েছে।
মিঠাইকে দেখে দারুন মুগ্ধ সিদ্ধার্থের বন্ধু স্যাটি। তাই সে আলাদা করেই মিঠাইয়ের প্রশংসা করে সিডকে বলে ‘তোর জন্য আমার খুব ভালো লাগছে। মিঠাই হয়ত আমাদের মতো ম্যানেজমেন্ট পড়েনি কিন্তু ও হ্যাপি সোল। মিঠাই সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকতে পারে, ও সবাইকে আনন্দ দিতে পারে। ওকে খুব ভালো রাখিস সিড’।অন্যদিকে মিঠাইকে সবার সামনে ছোট করার প্লান ভেস্তে যায় ট্যাস বুড়ির।
তাই স্যাটি-সহ অনান্যদের সাথে মিঠাই যখন ‘বত্তমিজ দিল’ গানে নেচে গোটা পার্টি মাতিয়ে রেখেছে, তখন সেইসব দেখে এক কোণে দাঁড়িয়ে রাগে ফুঁসতে থেকে তোর্সা। এমনকি রাগের মাথায় দুম করে নিজেই পার্টি ছেড়ে চলে যায় সে। পরিস্থিতি সামলাতে বরের বন্ধুদের মোদক বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায় মিঠাই নিজেই। বউয়ের জোরাজুরিতে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানায় সিদ্ধার্থও। সবমিলিয়ে বন্ধু দের হাই প্রোফাইল পার্টি তে মিঠাই রানির নন স্টপ এন্টারটেইনমেন্ট দেখে খুশি সিডিবয়ও। আগামী পর্ব নিয়ে এখন থেকেই উচ্ছসিত মিঠাই ভক্তরাও।